আদমদীঘিতে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করায় স্বামী গ্রেফতার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে গৃহবধু ধর্ষন মামলার দুইদিন পর স্ত্রীকে মারপিট করে তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করেছে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম (৪৪) নামের বহু বিয়ের নায়ক। গতকাল শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় আদমদীঘি উপজেলার কোমারপুর শিয়ালগাড়ি পাড়ায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটায়। পুলিশ ভিকটিম গৃহবধুকে উদ্ধার ও তার স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত রফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের এবারত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ভিকটিম ওই গৃহবধু বাদি হয়ে স্বামী রফিকুল ইসলামকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কোমারপুর শিয়ালগাড়ি পাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ইতিপূর্বে ৪টি বিয়ে করে। দেড় বছর আগে চাটখইর গ্রামের দুই জন স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে ৫ম বিয়ে করে সংসার করছে। তার স্ত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে এমন অভিযোগে গত বুধবার ৬ এপ্রিল রাতে একই গ্রামের দুলু ফকির ও হান্নান ফকির নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। এদিকে ধর্ষনের মামলা দায়েরের পর স্বামী রফিকুল ইসলাম এই স্ত্রীকে নানা অপবাদ দিয়ে তালাক দেয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১ টায় রফিকুল ইসলাম বাড়ির মেইন দরজা বন্ধ করে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে গ্রামে ঘুরায়। পুলিশ এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিম গৃহবধুকে উদ্ধার ও স্ত্রীর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়া স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। রফিকুল ইসলাম বলেন, অপবাদ ও লোকলজ্জার কারনে আমি ক্যাঁচি দিয়ে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করেছি। ওই গৃহবধু বলেন, তাকেও তালাক দেয়ার কৌশলে জোড়পূর্বক শারীরিক নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করেছে স্বামী। আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ন্যাড়া করে দেয়ার কাজে ব্যবহৃত ক্যাঁচি উদ্ধার করা হয়েছে। এবং অভিযুক্ত স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।