স্টাফ রিপোর্টারঃ
সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা,
প্রথমে আমার সালাম ও আদাব গ্রহন করুন। আপনারা সমাজের দর্পন, যে কোন সমস্যায় আপনাদের সম্মুখে উপস্থিত হই। আমি রুমান আলী তোরন, পিতা— মৃত হাজী রফাত আলী, গ্রাম— হামতনপুর, থানা— ওসমানীনগর, জেলা— সিলেট। একটি মহলের অপপ্রচার ও কূটকৌশলের কারণে আজ আমরা দিশেহারা ।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগন,
সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ, মিথ্যা বানোয়াট ও তথ্য বিবর্জিত কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে পুলিশের কতিপয় সদস্যদের যোগসাজসে স্থানীয় চান মিয়া গংরা দীর্ঘদিন যাবত আমার বাড়ীর কবরস্থান নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। হামতনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ কখনও ছিল না, এখনও নেই। যা এলাকাবাসি অবগত রয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা হল, আমার গ্রামের জামে মসজিদের উত্তর পশ্চিমে আমার ভাতিজা রুবেল মিয়ার একটি ভুসিমালের (মুদি) দোকান আছে। গত ২ আগস্ট সকাল নয়টায় তখদ্দছ মিয়া ও খালেদ মিয়া আমার ভাতিজা রুবেল মিয়ার দোকানে এসে হুমকি দিয়ে বলে ব্যবসা করতে হলে আমাদের কথামত চলতে হবে। না হয় প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঐদিনই বেলা ১২টায় পুনরায় এসে হুমকি দেয়। বেলা ১টায় চান মিয়ার নেতৃত্বে দেশীয় অসূত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ভাতিজা রুবেল মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তখদ্দছ মিয়া রাম দা দিয়া মাথায় কোপ মারতে চাইলে রুবেল মিয়া ডান হাত দিয়া বাধা দিলে তার হাত রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের সন্ত্রাসী হামলায় আরো জখম হন আরিফ মিয়া, জানু মিয়া ও আমি নিজে আহত হই। হামলার এক পর্যায়ে রুবেল মিয়া পার্শ্ববর্তী সাইস্থা মিয়ার বাড়ীতে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা সাইস্থা মিয়ার বসত ঘরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সাইস্থা মিয়ার ঘরে ভাচুর চালায়, ঘরের আসবাবপত্র, ওয়ারড্রোফ ও আলমিরা ভাংচুর করে। শোকেসের তালা ভেঙ্গে ৩ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার যার বাজার মূল তিন লক্ষ টাকা। শোকেসের ড্রয়ারে রক্ষিত নগদ ষাট হাজার টাকা নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা সাইস্থা মিয়ার বসতঘরের দরজা জানালা ও বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। শুধু তাই নয়, বাড়ীর টিউবওয়েল, ওয়াইফাই রাউড়ার ভাংচুর করে।
সাংবাদিক বন্ধুরা,
হামতনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি দখল ও সন্ত্রাসী হামলায় একথা বলা হয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। সন্ত্রাসীদের হামলাকালে পরিবারের মহিলা সদস্যরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পাননি । সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমার আত্মীয় স্বজনরা গ্রাম ছাড়া। ঘটনার সময় ওসমানীনগর থানা পুলিশকে অবগত করলে রহস্যজনক কারণে পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে তাদের সঙ্গে যোগসাজসে বাড়ীর পাশে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার আমার আত্মীয় স্বজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় রুবেল মিয়ার পিতা হাজী মোঃ হামদু মিয়া ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬ তারিখ ৪/৮/২০২৩ইং। মামলা হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত পুলিশ রহস্যজনকভাবে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করেনি। উল্টো হামলাকাররা বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের পারিবারিক সামাজিক মান—সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।