হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নলজুর নদীর উপর নব-নির্মিত বাঁশের সেতুর এ্যপ্রোচে মাটি না থাকায় ও বিদ্যুৎ এর তার বিপদজনক অবস্থায় থাকায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে এ্যাপ্রোচে মাটি ভরাট এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ এর তার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
৩ রা আগষ্ট রোজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরস্থ খাদ্য গুদামের সন্নিকটে নলজুর নদীর উপর দৃষ্টি নন্দন আর্চ ব্রীজের নির্মাণ কাজ হচ্ছে। যদিও বর্ষা মৌসুমের জন্য আপাতত এই ব্রীজের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এই ব্রীজের নির্মাণ কাজ এর জন্য এই স্থানের পুরাতন ব্রীজটি ভেঙে পেলায় গ্রামাঞ্চল থেকে উপজেলা সদরে আসা জনসাধারণ ও পৌরবাসীর চলাচলের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় অসুবিধা হচ্ছিল। তাই জনসাধারণের পায়ে হেঁটে যাতায়াতের সুবিধার্থে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে এই নির্মাণাধীন আর্চ ব্রীজের পাশে (দক্ষিণপার্শ্বে) সম্প্রতি বিকল্প দীর্ঘ বাঁশের সেতু নির্মাণ করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে বাঁশের সেতুর উভয় পার্শ্বের এ্যাপ্রোচে মাটি না থাকায় এবং পশ্চিম পার্শ্বে সেতুর সম্মূখে বিপদজনক অবস্থায় বিদ্যুৎ এর তার থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণকে চলাচল করতে হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিধায় জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এ্যাপ্রোচে মাটি ভরাটের পাশা-পাশি বিদ্যুৎ এর তার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন জগন্নাথপুরের সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা আমিনুল, রাদেশ দেবনাথ , শেখ সুজন, কামাল হোসেন লিলু, রাজীব রাজ বৈদ্য, আবাব মিয়া ও মর্তুজা মিয়া সহ একাধিক ব্যক্তি একান্ত আলাপকালে বলেন, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই বাঁশের সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় দ্রুত যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে। আমরা একজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে এই বাঁশের সেতুর এ্যাপ্রোচে মাটি না থাকায় ও সেতুর সম্মূখে বিপদজনক অবস্থায় বিদ্যুৎ এর তার রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছেন। যেকোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জনস্বার্থে দুর্ঘটনা এড়াতে এ্যাপ্রোচে মাটি ভরাট সহ বিপদজনক বিদ্যুৎের তার সাঁকোর ঠিক সামন থেকে অন্য স্হানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।