বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগের মাঝেও কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে পঞ্চগড়ের পশুর হাটগুলো। পঞ্চগড়ে হাটগুলোতে পশুর আমদানি এবারে প্রচুর। দেশি গরুর পাশাপাশি উঠছে ভারতীয় গরুও। তবে এ বছরে ভারতীয় গরুর সংখ্যা খুবই কম। ক্রেতারা বলছেন দেশি গরুর দাম বেশি, এবং বিক্রেতারা বলছেন দাম কম । দাম তুলনামূলক কম বেশি হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ দেশি গরুতেই। তবে গো খাদ্যের দাম এবারে বৃদ্ধি পাওয়াই তাতে করে তেমন লাভবান হতে পারবে না বলেও জানান খামারিরা। সম্প্রতি পঞ্চগড়ের পশুর হাটগুলো ঘুরে দেখা যায় প্রচুর গরু উঠছে। দামও গত বছরের তুলনায় ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে । ঈদের দিন ঘনিয়ে আসায় ক্রেতার ভিড়ও বাড়ছে। মাঝারি আকৃতির একটি দেশি গরু বিক্রি হচ্ছে ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। একই আকারের ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে সামান্য কম দামে। তবে দাম কিছুটা বেশি হলেও ক্রেতারা সাধ্যের মধ্যে দেশি গরুই কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। কেউ আবার গরু দেখেই চলে যাচ্ছেন বলছেন পরের হাটে কিনব। মাঝারি আকারের গরুর প্রতি ক্রেতাদের বেশি ঝোঁক থাকায় বিক্রেতারা অনেকটা সুযোগ নিচ্ছেন। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। ফলে কোরবানির পশু কিনতে ব্যাপক দর দাম করতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। এদিকে জেলার প্রতিটি হাটেই গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি টিম নিযুক্ত করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। এ বিষয়ে রাজনগর গরুর হাটের ইজারাদার আনারুল হোসেন জানান, কোরবানি উপলক্ষে গেল বছরের তুলনায় এবছর প্রচুর গরু উঠেছে হাটে, পঞ্চগড় জেলা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে গরু নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা । নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও সেবা দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, পঞ্চগড়ে খামারির সংখ্যা কম। বেশির ভাগই ব্যক্তিগতভাবে গরু পালন করে থাকেন। এবার তাঁরা ভালো দাম পাচ্ছেন।