গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চৈতি (ছদ্মনাম) নামের এক তরুণী বিষপানে আত্মহননের চেষ্টা করে করে। মৃত্যুর পথযাত্রী ওই তরুণীকে বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মানবিক পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম-পিপিএম।
পারিবারিক, সামাজিক ও দাম্পত্য জীবনে ক্রমাগতভাবে নিষ্পেষিত ও নির্যাতিত চৈতি বিষপানে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। অবাঞ্চিত এ ঘটনাটি ঘটানোর পূর্বে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণের মাধ্যমে কেবল মাত্র গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম-পিপিএম-কে বিষয়টি জানান চৈতি। ক্ষুদে বার্তাটি পড়ে খানিকটা আবেগাপ্লুত হয়ে অযথা সময় নষ্ট না করে পুলিশ সুপারের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তায় ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনায় টুঙ্গিপাড়া অফিসার ইনচার্জ সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতায় বিষপানে গুরুতর অসুস্থ চৈতিকে তার পৈত্রিক বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে জরুরী চিকিৎসা দিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়। সুস্থ হয়ে চৈতি আত্মহননের মধ্যদিয়েই যে সকল সমস্যার সমাধান নয় তা বুঝতে পেরে সে পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম-পিপিএম সহ তাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে জীবণ বাঁচানো সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার ভুল স্বীকার করেন । বর্তমানে চৈতি অতীতের সকল দুঃখ-কষ্ট ও গ্লানি মুছে নিজেকে নতুন ভাবে তৈরী করতে ব্যস্ত রয়েছেন। পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা যথাযথ কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে চৈতিকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সাহায্য করে আবারো মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
পরবর্তীতে, এ ঘটনা পুলিশ সুপার গোপালগঞ্জ -এর আইডিতে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোহাইমিনুল ইসলাম পোস্ট করেন। কমেন্টসে পুলিশ সদস্য সহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট সকলের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম-পিপিএম জানান, কেবল মাত্র আত্মহত্যাই সকল সমস্যার সমাধান নয়। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদেরকে অনেক ঘাত- প্রতিঘাত মোকাবেলা করতে হয়। যে কোন সমস্যা পুলিশকে অবহিত করুন। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ও কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌছে দিতে পুলিশ আপনাকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করবে। মনে রাখবেন বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদাই আপনার সেবায় নিয়োজিত। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।