, নবীনগর প্রতিনিধিঃ
জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’ এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন নারুই (ব্রাহ্মণহাতা) আলেয়া মাদ্রাসার উত্তর পাশে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছেন প্রভাবশালী দুই ব্যাবসায়ী গণি মিয়া ও হানিফ মিয়া।ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করায় গভীর গর্ত হয়ে জমি গুলো পুকুরে রুপান্তরিত হচ্ছে, যার ফলে পাশের জমি গুলো ভেঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে।
যে ভাবে ফসলি জমি কেটে মাটি উত্তোলনের হিড়িক চলছে,এতে দ্রুত অবৈধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতিসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে এবং পাশের ফসলি জমির ক্ষতি হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন নারুই (ব্রাহ্মণবাহাতা) গ্রামের আলেয়া মাদ্রাসার উত্তর পাশে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে।ফসলি জমির মাটি কেটে ফেলায় পাশের জমি গুলো ভেঙে যাচ্ছে।মাটি কাটার ফলে ফসলি জমি পুকুরে রুপান্তিত হয়েছে। প্রশাসন কে অবগত করলেও এর সুরাহা মিলছে না। ফসলি জমি পুকুরে রূপান্তরিত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন,নারুই ব্রাহ্মণহাতা গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছে প্রভাবশালী দুই ব্যাবসায়ী।যার ফলে আমাদের পাশের জমি গুলো হুমকির মুখে পড়েছে।আমরা প্রতিবাদ করলেও তারা আমাদের কে উল্টো হুমকি প্রদান করে।এ বিষয়ে প্রশাসন কে অবগত করলেও কোনো সুরাহা মিলছে না।প্রশাসন কে ম্যানেজ করে ফসলি জমি কেটে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। যে ভাবে ফসলি জমি কাটা হচ্ছে এতে আমাদের খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে।আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি,যারা ফসলি জমি কেটে পুকুরে রুপান্তরিত করছে তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য।
মাটি ব্যাবসায়ী গণি মিয়ার সাথে একাধীকবার মুঠোফেনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে মাটি ব্যাবসায়ী হানিফ মিয়া বলেন,আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মাটি উত্তোলন করতেছি।একটি ফসলি জমি কেটে একটি জমি ভরাট করেছি আরো দুই থেকে তিনটা ভরাট করা হবে।তবে অনুমতির কাগজ চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কাগজ দেখাতে অনিহা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে নবীনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান বলেন, আমি এবিষয়ে অবগত নই।এমন হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।