নেছারাবাদ স্বরূপকাঠীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সেতুতে জন দুর্ভোগ

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর নেছারাবাদ স্বরূপকাঠীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর নির্মিত অধিকাংশ সেতু মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। নির্মান কাজ শেষ করার পর দেড় /দুই বছর অতিবাহিত হলেও নির্মাান করা হয়নি এ্যাপ্রোচ সড়ক। ফলে চরম ঝুকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে জনসাধারনকে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে বার বার তাগিদ দিয়েও এলাকাবাসী কোন সমাধান না পেয়ে ইউএনর বরাবরে অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছে। কোথাও কোথাও নিজেরা গায়ে খেটে মাটি ভরাট করে স্লিপার তৈরি করে কোন প্রকারে চলাচলের ব্যবস্থা করে নিয়েছে। সব চেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা।
সরে জমিনে জানাযায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে উপজেলায় বেশ ক’টি ব্রিজ নির্মান করা হয়। এর মধ্যে জলাবাড়ী ইউনিয়নের জিনুহার বাজারের পশ্চিম দক্ষিন পাশের খালের ওপর সেতু নির্মান করা হয়। ওই ব্রিজের কাজের মান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ওইসময় উপজেলার ক্ষমতাশালী ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লাভলু আহমেদের বিপক্ষে কেউই মুখ খুলে নি। এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মান না করেই নির্মান কাজ শেষ করে চলে যান ঠিকাদার। ফলে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয় এলাকাবাসী। বার বার তাগিদ দিয়েও কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় একান্ত বাধ্য হয়ে নিজদের খরচে মাটি ও স্লিপার তৈরি করে দিয়ে পারপার হচ্ছে। একই ভাবে উপজেলার রাহুতকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে খালের ওপর আর একটি সেতু নির্মান করা হয়েছে। সেখানে খালের চেয়ে অনেক বড় সেতু হওয়ায় উইং ওয়াল তৈরি করা হয়েছে ডিজাই বহির্ভূত ভাবে (অপ্রয়োজনীয়)। সেতুটি এতই উচু যার কোন প্রয়োজন ছিল না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। বাস্তবায়নকৃত কর্তৃপক্ষ বরাবরে বার বার ধর্না দিয়েও কোন ফল না পাওয়ায় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দিলে তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে অবাক হন। যে খালের চেয়ে দিগুন স্প্যানের সেতু। পাহাড় সম উচ্চতা। উইং ওয়াল করার যায়গা না পাওয়ায় ২ ফুট গ্যাপ রেখে সেতুর সমান্তরালে ওই উইংওয়াল নির্মান করেছে। এছাড়া সেতুর উপরের পানি নিস্কাশনের জন্য কোন রেলিং’র নিচ থেকে পাইপ বা কোন ধরনে ব্যবস্থা না রাখায় সেতুর উপর পানি ও ময়লা জমে নোংড়া পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে উপজেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানস কুমার দাসের সাথে সাথে কথা বলতে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকারা তার অফিসে গেলে তিনি এসব সমস্যা দুর করার জন্য ১৫ দিনের সময় চান। কিন্তু এরপর দুই মাস অতিবাহিত হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা করতে পারেন নি। পুনরায় তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, তিনি আসার অনেক আগের কাজ। এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিয়ে বসে কি করাযায় তা দেখবেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন, তিনি তার চাকুরী জীবনতো দুরের কথা পুরো জীবনেও এমন কাজ দেখেন নি। তিনি এর একটা বিহিত ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ। এ ব্যাপাওে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।