পঞ্চগড় সেটেলমেন্ট অফিসকে ভোগান্তি মুক্ত করেছেন, আলমগীর হোসেন

উমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:সেটেলমেন্ট অফিস মানেই ভোগান্তি- এমন ধারণা সম্পূর্ণ রূপে বদলে দিয়েছেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার আলমগীর হোসেন শেখ। ভূমি মালিকরা এখন সহজেই যথাযথ সেবা পাচ্ছেন তার অফিসে। অফিস সূত্রে জানা গেছে, একসময় ভূমি মালিকরা জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে দালালদের খপ্পরে পরে হয়রানির শিকার হতো। কিন্তু এই কর্মকর্তা অফিসটিকে ভোগান্তি মুক্ত করেছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী তিনি অফিসটিকে দালাল মুক্ত ঘোষণা করেন। এবং কি তার অফিস কক্ষে সাধারন ভুমি মালিকদের ভিতরে প্রবেশ করতে কারও অনুমতির প্রয়োজনও হয়না। ভোগান্তি মুক্ত সেবা দিতে পারায় গত ভূমি সেবা সপ্তাহে এই কর্মকর্তাসহ অফিসের উপ সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার ননী গোপাল বিশ্বাস জোনের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হন।এবংকি তারা দুজনই পুরস্কৃতও হন।এদিকে, এসব অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং অবৈধ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় কিছু কুচক্রী ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করছেন বলে দাবি সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার আলমগীর হোসেন শেখের।তিনি বলেন, আমি গত বছরের অক্টোবর মাসে এই অফিসে যোগদান করি। সেসময় অফিসে আপত্তি কেসের সংখ্যা ছিলো প্রায় ২১ হাজার। এই কয়েকমাসে আমি এটা ৪ হাজারে নিয়ে এসেছি। আমি মনে করি আমার এটা একটা বিরাট সাফল্য। এখানে একটি মৌজা কাজ বাকি ছিল সেটাও আমি শেষ করেছি।তারপরেও এই অফিসে বাইরের অবাঞ্চিত লোকদের মুক্ত করার জন্য আমার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয় পএ দিয়েছি যা গলায় ঝুলিয়ে রাখে সবাই, যাতে করে স্পষ্ট বোঝা যায় কে অফিসের লোক আর কে বাইরের লোক।তৎসঙ্গে আমি আরও বলতে চাই আমার বিরুদ্ধে কোন ভুমি মালিক কোন প্রকার অভিযোগ নেই এবং কি করতেও পারবেনা।আমরা সর্বোচ্চ সেবা ভুমি মালিকদের দিচ্ছে এবং দিয়ে যাচ্ছি। আমরা ভূমি মালিকদের শতভাগ সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। সে আলোকেই কাজ করছি। তারপরও কিছু মানুষ দোষ খুঁজছে। বিভিন্ন অপ প্রচার চালাচ্ছে।তবে আমি তাতেঁ মোটেও বিচলিত নই।আমি অপরাধ করে থাকলে অবশ্যই আমার কতৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।