সানন্দবাড়িতে ৬০ টাকার মরিচ ২৪০টাকা

মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ বৃহস্পতিবার (৪আগস্ট) দেওয়ানগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২৪০ দামে কেনা-বেচা হচ্ছে। এসময় উর্ধগতি দাম নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে ক্রেতা সাধারণের তর্ক-বিকর্তও দেখা গেছে।
জানা যায়, খরিপ-১ মৌসুমের কাঁচা মরিচ আবাদ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত এ সময়টা আবহাওয়ার বিরূপ আচারণ সৃষ্টি হয়। গত ১৫ দিন আগ পর্যন্ত ক্ষেত থেকে অধিক পরিমান মরিচ উৎপাদন করছিলেন কৃষকরা। যার ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় ৫০থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন তারা। কিন্ত সম্প্রতি অতিখড়া ও মাঝে মধ্যে অতিবর্ষণের কারনে উদপাদন কমে গেছে। যার ফলে চাহিদা বেশী হওয়া দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।
সানন্দবাড়ী এলাকার কৃষক জিয়াউল হক ব্যাপারী জানানা, তিনি একবিঘা জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত ১৫ দিনের তুলনায় উৎপাদন কমেছে অর্ধেকে। এমতাবস্থায় স্থানীয়ভাবে চাহিদা বেশী থাকায় পাইকারি দরে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।
মাইনুল নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, আড়তে বেশী দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। আর দাম বেশী হওয়ায় গ্রাহকদের সঙ্গে তর্তবিতর্ক বাঁধছে।
সানন্দবাড়ি বাজারে মরিচ কিনতে আসা আবু হানিফ নামের এক শিক্ষক এ প্রতিবেদককে বলেন, কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এমন পরিস্থিতির কারণে ক্রয় ক্ষমতা বাহিরে চলে গেছে।
কাওনিয়ারচর বাজারের আমিনুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক জানান, জামালপুর জেলায় মরচিসহ প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হয়। এসব সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষক-ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।