কয়রায় নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনার কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামে সন্তানদের সামনে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার ঘটনায় কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ শিকারীকে জড়িয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ায় উক্ত খবর এর প্রতিবাদে তিনি গত ১৬জুলাই শনিবার তারই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কয়রা উপজেলার বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে এক প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন- আমার ইউনিয়নের কুচের মোড় এলাকায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। উক্ত পক্ষদ্বয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলমান ছিল। একাধিকবার স্থানীয় মিমাংসায় ব্যর্থ হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান। বিগত ১২ জুলাই তারিখে আমার ইউনিয়নে তা অবশ্যই নিন্দাজনক, দুঃখ জনক। আমি উক্ত ঘটনার তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার চাই। কিন্তু আমাকে জড়িয়ে যে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃত পক্ষে আমি ঐদিন পাশ্ববর্তী পাইকগাছায় উপজেলায় আমার শ্বশুরালয়ে ছিলাম। তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী (যিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না) অন্যের দারা প্রভাবিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মীতে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করেছেন। আমি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঐ সময় ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ভাবে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এস,এম, এ দোহা কে জানাইলে তিনি ভিক্টিম নারীকে উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসায় প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, ঈদ উল আযহার পরের দিন কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কুচির মোড় নামক স্থানে জমা জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলযোগের সময় এক পর্যায়ে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা আব্দুল গফ্ফার গাজী বাদী হয়ে কয়রা থানায় একটি মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ০৭/২০২২। উক্ত মামলায় কয়রা থানা পুলিশের অভিযানে এ পর্যন্ত ৪জন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।