কোমর সমান পানিতে নেমে বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার ও ত্রাণ নিয়ে ছুটে চলেছেন মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক

উমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :বন্যায় ভাসছে জনপদ, ভাসছে মানুষ। পানি থৈ থৈ চারদিকে। পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ পৌর এলাকায় রাস্তা ও বাসা বাড়িতে কোমর সমান পানি। এতে শিশু,বৃদ্ধ, নারী পুরুষ ও গবাদি পুশু সহ পরছে বিপাকে । এমন সময় কোমর সমান পানিতে, এবং মোশল ধারে বৃষ্টিতে ভিজে শুকনো খাবার আর পানি দিচ্ছেন দেবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক। অনেকের হাতে কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, বিশুদ্ধ পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে-এক কথায় নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ। সেই সময় মোশল ধারে বৃষ্টি আর বিজলি চমকানোকে অপেক্ষা করে নিজ সখের বাড়ি থেকে যখন বেরুতেই মন চায় না, বের হলেই যেন শরীল শিউরে উঠে ,সেই বৃষ্টির মাঝে রুমে যখন একটু আরাম হয়। তখও সব আরাম ভুলে, পরিবারের মানুষদের আহার নিয়ে ভাবতে হয় গরিব দু:খী, অসহায় নীর্হ দিনমুজুর, শ্রমিক মানুষদের। বর্ষায় মৌসুমে তাদের একটি আরামের দুপুর অনেকগুলো মানুষের অনাহারের কারন হয়ে দাড়ায়। তাই এরকম চিন্তা তাদের কাছে দুরাশার। আমাদের একজন নেতা আছে যাকে নেতা না বলে জনগণের জন্য একজন আদর্শ মানুষ বলাটাই ঠিক হবে। যে দিনরাত এক করে মাঠে ময়দানে গরিব দু: খী দের খোজে ছুটে বেড়ান এক বেলা মানুষের মুখে আহার তুলে দিতে সে হচ্ছেন দেবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক । এমনেই চিত্র দেখা গেছে দেবিগঞ্জ পৌর এলাকা সহ পঞ্চগড় জেলায়। গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। তিনদিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টিতে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া উত্তরের ভারত থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার মহানন্দা, করতোয়া, তালমা, ডাহুকসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁইছুঁই করছে। নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম তলিয়ে গেছে পানির নিচে। এতে চরম জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টি আর অকেজো ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে পৌর এলাকা। পৌরসভা মেয়র মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেছেন, আগে থেকেই দেবিগঞ্জ পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে কাজ করছি। অনেক ড্রেনে স্থানীয়রা ময়লা ফেলে ভর্তি করছেন। এছাড়া নানা জটিলতায় সব ড্রেন থেকে ময়লা অপসারণ বা পরিস্কার করা যায়নি। এজন্য অতি বৃষ্টিতে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। ইতিমধ্যে পৌরসভা এলাকায় পানিবন্দি মানুষদের জন্য আমি নিজে গেয়ে শুকনো খাবার সহ ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি । আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। পানিবন্দি ও দুঃস্থদের মাঝে চাহিদা অনুযায়ী ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।