স্বরূপকাঠি বরছাকাঠীর লম্পট ইসরাফিলের অনৈতিক কর্মকান্ডে এলাকা ছাড়ার অভিযোগ
স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি :
হত দরিদ্র পরিবারের অভাবকে পুঁজি করে অন্যের স্ত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে বেআইনী কাজকর্ম করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে বরছাকাঠীর মোঃ ইসরাফিলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় বলদিয়া ইউনিয়নের মধ্যে রাজাবাড়ী গ্রামের কাঠমিস্ত্রী মোঃ মুনিরের বিয়ে হয় সোহাগ দল ইউনিয়নের মিন্টু মিস্তিরির মেয়ে তামান্নার সাথে । শত অভাব অনটনের মধ্যে চলছিল সংসার। এরিমধ্যে উভয়ের সংসারে একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান আসে।জীবন যুদ্ধে ভালোই চলছিল সংসার। কিন্তু হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় আসে কাঠমিস্ত্রী মুনিরের সংসারে। আকর্ষিক ভাবে মুনিরের সুন্দরী স্ত্রীর উপর নজর পড়ে বরছাকাঠীর আগাছা কাঠ ব্যাবসায়ী মোঃ ইসরাফিলের। দুষ্ট ও নষ্ট চরিত্রের সেয়ানা গুগু ধীর গতিতে তামান্নার উপর লেলুপ দৃষ্টি পড়ে। শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে বিশেষ নজর দেয় কাঠমিস্ত্রি মুনিরের অগচরে। লম্পট ইসরাফিল সময় সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেআইনী ভাবে মাঠ চাষ করে ইউরিয়া, পটাশিয়াম ও ক্যালশিয়াম দিয়ে। চীনের মত উন্নয়নের জন্য মুনিরের সংসারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সুকৌশলে। মুনিরের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে বেআইনী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ারও গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে লম্পট চরিত্রের অধিকারী মোঃ ইসরাফিলের বিরুদ্ধে। ভূয়া কাগজ পত্র তৈরী করে একপর্যায়ে বৌ দাবী করে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর মত।সময়ের সাথে সাথে অর্থ লোভী তামান্না বৈধ স্বামীকে ডিভোর্স দেয় বলে জানান নষ্ট চরিত্রের মোঃ ইসরাফিল। এ ব্যাপারে কথা হয় বৈধ স্বামী মোঃ মুনিরের সাথে। তিনি অকপটে বলেন লম্পট ইসরাফিল আমার সরলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে বৌ বৌ খেলায় মেতে উঠে।আমার বৌকে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন সময়ে উপহার সামগ্রী দিয়ে কাবু করে ফেলে।এরপর বেআইনী ভাবে ভূয়া কাগজ পত্র তৈরী করে স্বামী স্ত্রীর মত প্রায়ই হানিমুনে লিপ্ত হতো। তবে ভিন্ন কথা বলেন তামান্না। তিনি গণ মাধ্যম কর্মীদের কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি। এলাকার বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন তামান্না ও ইসরাফিলের অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ গ্রামের বাসিন্দারা।অবশ্য ভিন্ন কথা বলেন, বরছাকাঠীর বহু কাঠ শ্রমিক সহ বহু কাঠ ব্যাবসায়ীরা। তারা অকপটে স্বীকার করেন আমাদের এলাকায় কাঠ ব্যাবসায়ী ইসরাফিলের মত লম্পট ও দুঃচরিত্রের লোকের সংখ্যা কম।আসলে ইসরাফিল একটা ঠান্ডা মাথায় বাজে চরিত্রের মানুষ। ইসরাফিলের স্ত্রী সহ একটা মেয়ে আছে। তারপরও পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে বহু পরিবার তচনচ করেছে। সোহাগদল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দাবী,লম্পট চরিত্রের ইসরাফিলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চায়। পাশাপাশি লোভী পরিবারের তামান্নারও কঠিন শাস্তি চায়। সর্বশেষ তথ্য মতে গত বৃহস্পতিবার এলাকার চেয়ারম্যান মোঃ আঃ রশীদ বেহায়া চরিত্রের অধিকারী মোঃ ইসরাফিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই কঠিন বিচার করে হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোঃ মুনিরের সংসারে কথা চিন্তা ভাবনা করে। স্থানীয় ভাবে পাকাপোক্ত কঠিন ডকুমেন্টসের মাধ্যমে লিখিত নেয়। ইসরাফিল আগামীর জন্য কোন রকম ঝামেলা করতে পারবে না। এ ব্যাপারে কথা হয় সোহাগ দল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আঃ রশিদের সাথে। তিনি গণ মাধ্যম বলেন, আমি একটা সুন্দর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।