‘ঘরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ওসি’

স্টাফ রিপোর্টারঃ
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে প্রেম
করছেন গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া থানা
পুলিশের ওসি একেএম এনামুল কবীর। এ
নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে নির্যাতন
করা হয়। ওসির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে
বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবে
সংবাদ সম্মেলন করেন ইয়াছিন শেখ (৩৫)
নামের এক যুবক।
ইয়াছিন শেখ বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস ধরে
টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশের ওসি একেএম
এনামুল কবীর আমার স্ত্রীর সঙ্গে
পরকীয়া প্রেম করে আসছেন। সবশেষ গত ১৩
সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত কাজে আমি ঢাকায়
যাই। ঢাকা থেকে ওইদিন গভীর রাতে
ফিরে আসি। ঘরে ঢুকে দেখি ওসি এনামুল
কবীর আমার স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক
সম্পর্কে লিপ্ত। এ সময় আমি চিৎকার
দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদের
হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে ওসি ঘর
থেকে বের হয়ে আমাকে খুঁটির সঙ্গে
বেঁধে ফেলে। সেই সঙ্গে পাগল আখ্যা
দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার
চেষ্টা চালায় ওসি।
ইয়াছিন আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকে
ওসি আমাকে হয়রানি করে চলছেন।
আমাকে মাদক মামলার আসামি করার
হুমকিও দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমাকে
বাগেরহাট থানার একটি মাদক ও ব্যাংক
চেক প্রতারণার মামলার আসামি করা
হয়েছে। আমার স্ত্রীর সঙ্গে ওসির
পরকীয়া নিয়ে আমি গোপালগঞ্জের
পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ
দিয়েছি। গোপালগঞ্জের এএসপি (সদর
সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন
বিষয়টি তদন্ত করছেন। আমার সংসারের
সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমি এ ঘটনার
সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টুঙ্গিপাড়া
থানা পুলিশের ওসি একেএম এনামুল কবীর
পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
আমি ইয়াছিন ও তার স্ত্রীকে চিনি না।
বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি
মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইয়াছিনকে দিয়ে
আমার বিরুদ্ধে এমন কাজ করাচ্ছে।
আমি
তাকে কখনো মামলা দেয়ার হুমকি দিইনি।
আমার জানামতে তার বিরুদ্ধে কোনো
মামলা নেই। তবে চাকরি দেয়ার কথা বলে
ইয়াছিন বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে
টাকা আদায় করেছে বলে শুনেছি।
এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা ও
গোপালগঞ্জের এএসপি (সদর সার্কেল)
মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, এ
নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ
দিয়েছেন ইয়াছিন। পুলিশ সুপার আমাকে
ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রের সঙ্গে ইয়াছিন তার স্ত্রী,
শাশুড়ি ও গাজীপুরের এক হুজুরের মোবাইল
নম্বর দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করছি
আমি।