কুড়িগ্রামে আদালতের স্থিতাবস্থা উপেক্ষা করে দোকান নির্মাণ

শাহাজাদা বেলাল স্টাফ রিপোর্টার::
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি বাজারে আদালতের স্থিতাবস্থা উপেক্ষা করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া জমির মালিকের কাছ থেকে জমি ক্রয় দেখিয়ে অন্যের জমিতে জোরপূর্বক দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করা হলে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাসহ কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালত স্থিতাবস্থার নির্দেশ দিলেও একটি পক্ষ নির্দেশ না মেনে রাতের আঁধারে দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাঁঠালবাড়ী বাজারের উত্তর অংশে কাউয়াহাগা সড়কে অবস্থিত সন্যাসী গ্রামের মৃত আমির বকস চৌধুরীর নামে রেকর্ডভুক্ত জমি তার পুত্র মৃত মাহাতাব আলী চৌধুরী গং ভোগদখল করার পর ওয়ারিশ সূত্রে বর্তমান মালিক তার পুত্র গোলাম মওলা চৌধুরী গং। পিতার কাছ থেকে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ৮ শতক জমিতে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ ওঠে।
ওই ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম ব্যাপারীর পুত্র হবিবুর রহমান ও তার আপন বোনজামাই আব্দুল জলিল কাঁঠালবাড়ী বাজারে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ধারে খাস জমিতে অস্থায়ী দোকানঘর বসিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এই দোকানঘরের পিছনেই রয়েছে গোলাম মওলা চৌধুরী গংয়ের জমি। হবিবর রহমান ও আব্দুল জলিল উভয়ে যোগসাজশ করে গোলাম মওলা চৌধুরী গংয়ের ৮ শতক জমি দখল চেষ্টা করে সেখানে ইট, বালু, সিমেন্ট ফেলে বড় পরিসরে দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করে। এতে গোলাম মওলা চৌধুরী গং ও তার লোকজন বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় গোলাম মওলা চৌধুরী গং বিবাদীগণের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় নোটিশপ্রাপ্ত হন বিবাদীগণ। নোটিশ পেয়েও বিবাদী হবিবুর রহমান ও আব্দুল জলিল রাতের আঁধারে জোরপূর্বক দোকানঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বাদী গোলাম মওলা চৌধুরী জানান, আমার আত্মীয়-স্বজন বাইরে চাকরি করার সুযোগে আমাদের ওয়ারিশপ্রাপ্ত জমিতে হবিবুর রহমান ৬ শতক ও আব্দুল জলিল ২ শতক জমি ভুয়া মালিকের কাছে ক্রয় দেখিয়ে বেদখল করার চেষ্টা করলে আমি ৩ অক্টোবর বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করি। এরপর বিবাদীগণ জোরপূর্বক দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে ৪ অক্টোবর আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।
এছাড়াও ৭ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করি। বিজ্ঞ আদালত স্থিতাবস্থা জারি করলেও বিবাদীগণ তা মানছে না। তারা গায়ের জোরে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। আমরা চাই প্রকৃত মালিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এ ব্যাপারে বিবাদী হবিবুর রহমানের নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।