উমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সিমান্ত ঘেসা সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হালকা হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে শহর ও গ্রামে। সেই হিমালয় থেকে নেমে আসা ঠান্ডা গ্রামে একটু বেশি, দ্রুতই পাল্টে যাচ্ছে এ জেলার আবহাওয়া। বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং দিনের বেলায় সর্বোচ্চ ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে পঞ্চগড়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে কুয়াশায় পুরো এলাকা ছেয়ে যাচ্ছে। রাস্তা ঘাটে দেখা যাচ্ছে রাতের বেলায় শীতের কাপড় পরে বেরাতে। সবুজ ঘাস ও গাছের পাতায় জমছে শিশিরের কণা। প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। শীতের বার্তা নিয়ে আসার কথা ছিল হেমন্তের। কিন্তু পঞ্চগড়ে এখন দিনে হেমন্ত, রাতে শীত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটা প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবের কারণে হচ্ছে। হেমন্তের শুরু থেকেই দিনের বেলায় শান্ত বাতাস বইছে সর্বত্র। গাছে গাছে ফুটছে শিউলি, বকুলসহ নানা ফুল। মাঠে মাঠে বেড়ে উঠছে সবুজ ধান। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে যেন সবুজ রঙ ঢেলে দিয়েছে প্রকৃতি। প্রতিনিয়ত বইছে হিমেলে হাওয়া। সকালে পূর্ব আকাশ ফুঁড়ে উঠছে সূর্য। দিনে সর্বত্র গরম অনুভূত হচ্ছে। সারা দিন কড়া রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর শান্ত হয়ে আসছে প্রকৃতি। রাতে বইছে ঠান্ডা হাওয়া। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কমে যাচ্ছে। শরীরে লাগছে শীত। শেষ রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে তীব্র। হালকা শীতের কাপড়ও গায়ে জড়িয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে, শিশু ও বৃদ্ধদের শেষ রাতে ব্যবহার করতে হচ্ছে শীতের কাপড়। যারা শীতের কাপড় গুছিয়ে রেখেছিলেন তারাও এখন ব্যবহারের জন্য গরম কাপড় বের করছেন। রাতে শীতের সঙ্গে কুয়াশা পড়ছে। শহরের শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় বাড়ছে।