সালেহ আহমদ (স’লিপক):
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পঞ্চেশ্বরে শ্রীশ্রী গিরিরাজ গোবরর্ধন পূজা, অন্নকুট ও দামোদর মহোৎসব ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউপির পঞ্চেশ্বরে ভগবত শিক্ষা একাডেমির আয়োজনে ভোর সাড়ে ৪টায় মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে শুরু হয় অন্নকুটের মূল পর্ব। অনুষ্ঠানসূচীতে ছিলো সকাল ৬টায় জপক্লাস, সাড়ে ৭টায় দর্শনারতি ও গুরুপূজা, সকাল ৮টায় নগর সংকীর্তন।
দ্বিতীয় পর্বে বেলা ১১টায় কীর্তন মেলা ও ভজন কীর্তন, সাড়ে ১২টায় ভোগ আরতী, দুপুর ১টায় দামোদর লীলা ও মহিমা আস্বাদন অনুষ্ঠানে শ্রীমৎ ভগবত গীতা পাঠ করেন শ্রীশ্রী গৌর নিতাই জিউ মন্দির (ইসকন) মৌলভীবাজারের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ রত্নেশ্বর কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মাচারী। পারে চাম্পা লাল বৈদ্যের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাংবাদিক রিপন কান্তি ধর রুপক, শ্যামল ধর প্রমুখ। ভজন নৃত্য করেন পুস্পবতি বৈদ্য, সৃষ্টি বৈদ্য, মিতালি কর, পুজা দেবনাথ, প্রিয়ম বর্ধন, নয়ন কর প্রমুখ।
গিরিগোবর্ধন পূজা ও অন্নকূট মহোৎসবে সহস্রাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হন। এ সময় ১০৮ আইটেম রান্না করা উপচার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে ভোগ নিবেদন করা হয়।
দিনব্যাপী গান, কির্তন, আরাধনায় পরিপূর্ণ ছিল মন্দির প্রাঙ্গন। বিকেল ৩টায় মহাপ্রসাদ বিতরনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।
তৃতীয় অধিবেশনে সন্ধ্যা ৬টায় তুলসী আরতী, গৌর আরতী ও নৃসিংহ স্তব, ৭টায় দামোদরষ্টকম এবং রাত ৮টায় বিশ্ব শান্তি কামনায় সহস্র প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যম অন্নকুট মহোৎসবের সমাপ্তি করা হবে।
উল্লেখ্য, দেবী অন্নপূর্ণাকে সন্তুষ্ট করার জন্য অন্নকুট উৎসব আয়োজন করা হয়ে থাকে। দেবী অন্নপূর্ণা, দূর্গারই আরেক রূপ। ভারতের কাশীতে অন্নপূর্ণা প্রতিমার সামনে এ দিন বিশাল ভোগের আয়োজন হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, অন্নকুটের একটি দানা যার পেটে পড়ে সে কখনো নিরন্ন থাকে না। যার কারণে এ খাবারের বিশেষ গুরুত্ব আছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বছরজুড়েই মেতে থাকে উৎসবে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় গিরিগোবর্ধন ও অন্নকুট উৎসব। যা ‘অন্নকুট’ উৎসব নামে পরিচিত। কার্ত্তিক মাসে কয়েক হাজার আইটেম উপাচার রান্না করে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় যা অন্নকুট নামে সর্বাধিক পরিচিত।