1. admin@dailyhumanrightsnews24.com : admin :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মৌলভীবাজারে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে চা বাগান ব্যবস্থাপকদের নিয়ে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত পূর্ব লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে এর সভায় প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া উত্তাপন জগন্নাথপুরে মহিলাসহ ২ জন পলাতক আসামী গ্রেপ্তার  নেত্রকোনায় নাশকতা মামলার আসামী গ্রেপ্তার জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার গুরুত্ব অপরিসীম- সিলেটে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ নেত্রকোনায় নাশকতা মামলার আসামী গ্রেপ্তার জগন্নাথপুরে মহিলাসহ ২ জন পলাতক আসামী গ্রেপ্তার  অপহরণ মামলার দেড় মাসেও উদ্ধার হয়নি ভিকটিম, আসামী গ্রেফতারে ব্যর্থ তিতাস থানা পুলিশ কমলগঞ্জে সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাগনা পরিচয়ে রেলের জমিদখল এবং মুরগীর ফিড দিয়ে মসলা তৈরী ও বাজারজাত করে রাতারাতি কোটিপতি মুহিত কুলাউড়ায় অসহায় মানুষদের মাঝে শমশেরনগর হাসপাতালের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

কমলগঞ্জে সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাগনা পরিচয়ে রেলের জমিদখল এবং মুরগীর ফিড দিয়ে মসলা তৈরী ও বাজারজাত করে রাতারাতি কোটিপতি মুহিত

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩২ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা মুহিত মিয়ার পিতা কনদু মিয়া ৫/৬ বছর আগেও রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন। আলাদিনের চেরাগ ছিল সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। মুহিত মিয়া কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এর ভাগনা পরিচয়ে অবৈধ ব্যবসা করে এখন ১৫/১৬ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের কনদু মিয়ার ৮ শতক জমিতে শুধু ভিটে ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। তখন জীবিকার তাগিদে রিক্সা চালাতেন। বিগত সংসদ নির্বাচনে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল আসন থেকে ৭ম বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ। সেই সাথে মন্ত্রী পরিষদে কৃষিমন্ত্রী হন উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ। মুহিত মিয়া কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ ও তার ভাইদের মন জয় করে হয়ে যান তাদের ভাগিনা। মুহিত মিয়া কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের ভাগিনা হওয়ার সাথে সাথে হাতে পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শমশেরনগর রেলস্টেশনে পাশের লালগুদামের গোডাউনের বিপরীত দিকে রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ জায়গা জোরপূর্বক দখল করে কয়েকটি দোকান কোঠা তৈরী করে তা ভাড়া দেন। এছাড়া ঘরোয়া  পরিবেশে মসলা ও ঘি তৈরী করে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বাজারজাত করতে শুরু করেন। এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমেই কয়েক বছরে তিনি ১৫/১৬ কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। রেলের জমি উদ্ধার ও অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিকভাবে অভিযান করা হলে মন্ত্রীর ভাগিনা পরিচয় দেয়ায় অভিযানিক প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই চলে যেতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মুরগীর ফিড দিয়ে হলুদ, মরিচ, ধনিয়া তৈরী করে বাজারজাত করে আসছেন তিনি। বিসমিল্লাহ মসলা মিলের মাধ্যমে মধু ব্র্যান্ড ১২ মসলা, মধু ব্র্যান্ড মিক্স মসলা, সস, রুবি মসলা, হিরো বাটার, হিরো ঘি, হিরো ক্রীম, তীর ঘি, নুরজাহান ঘি, নুরজাহান মসলা সহ বিভিন্ন কোম্পানির নামে প্রস্তুত করে বাজারজাত করেন।
আরো জানা যায়, শমশেরনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের শরিফ মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া মুহিতের ব্যবসায়িক পার্টনার। ব্যবসায়িক পার্টনার রাসেলের বাড়িতে ঘি সহ অন্যান্য পণ্য প্রস্তুত করা হয়। তাদের তৈরীকৃত পণ্যের বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বাজারজাত হচ্ছে। তাদের তৈরীকৃত নিম্নমানের সামগ্রীসমূহ মৌলভীবাজার, ভানুগাছ, শ্রীমঙ্গল, নবীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, আদমপুর সহ বিভিন্ন স্থানে একশ্রেণীর মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদেরকে ডিলার পয়েন্ট দিয়ে পণ্যসমূহ বাজারজাত করছেন। প্রায় ৩ বছর পূর্বে তৎকালীন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক মুরগীর খাদ্য মিশ্রিত করে হলুদ, মরিচ, ধনিয়া জব্দ করে কারখানা সীলগালা করে দেন। পরে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে ব্যবসাটি আরো জমজমাট করে তুলেন। ইতিমধ্যে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে কনদু মিয়ার ছোট ছেলে লেবু মিয়া পর্তুগাল ও বড় ছেলে মুমিন মিয়াকে সৌদিআরব পাঠানো হয়েছে। কনদু মিয়ার রাধানগর গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি ও প্রচুর জমিজমার মালিক হয়ে যান। এসব অনিয়ম স্থানীয় মানুষজনের চোখের সামনে ঘটলেও মুহিতের প্রভাবের কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। যদিও কেউ প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেন, তাদের উপর নেমে আসে হামলা-মামলার খড়গ। তাই এলাকার মানুষজন ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলেন, মানুষের খাবারের অযোগ্য পণ্যসমূহ বাজারজাত করে মানুষের সাথে প্রতারণাপূর্ব মুহিত ও তার সহযোগিরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও মানুষজনের নানা রোগব্যাধী সহ প্রাণহানী ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অচিরেই প্রসাশনিক ভাবে সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে রেলেওয়ের জমি উদ্ধার সহ নিন্মমানের মসলা ও ঘি এর কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মুিহত মিয়া ও তার ব্যবসায়ীক পার্টনার রাসেল মিয়ার বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাদের ঘনিষ্টজনরা বলেন, তাদের কোন অবৈধ ব্যবসা নেই। সব কাগজপত্র ঠিক আছে। রেলওয়ের জমিও লিজ আছে। একটি কুচক্রীমহল আমাদের ব্যবসাীয়ক সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, সরেজমিন তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park