রবি মিয়া সুনামগঞ্জ ধর্মপাশা (প্রতিনিধি)
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা ৪ নং জয়শ্রী ইউনিয়নের অন্তগত ঘিরইল গ্রামের গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা ও মোবাইল চিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, গৃহবধূ বিলকিস আক্তার( ২৪) বলেন, আমরা খুবই গরীব মানুষ, আমার স্বামী ফয়সাল আহমেদ তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যায় মৎস্য আহরণের উদ্দেশ্যে হাওড়ারে চলিয়ে যায় এবং মৎস্য আহরণে শেষে নিজে বাড়িতে ফিরে আসে, আসামি নাজির হোসেন (২৫) পিতা: আব্দুস সালাম, সে একজন চরিত্রহীন লম্পট প্রকৃতির লোক, দীর্ঘদিন ধরে এই লম্পট প্রকৃতির নাজির হোসেন আমার যাতায়াতের পথে অসৎ উদ্দেশ্যে কুপস্তাম দিত, এ বিষয়ে আমি এরাইয়া যাইতে থাকিলে সে আমাকে প্রবৃদ্ধ করার অপচেষ্টা লিপ্ত থাকে, পরে বিষয়টি আমি আমার স্বামী ফয়সাল আহমেদকে জানাইলে নাজিরকে পাইয়া উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সহ বাধা নিষেধ করে, পরে সে আরো বেশি রাগান্তিত হয়ে গত, ৩১/৮/২৪ ইংরেজি সন্ধ্যায় অনুমান ১১,৩০ ঘটিকা আমার স্বামী মৎস্য আহরণের উদ্দেশ্যে হাওড়ে চলিয়া যায়,তখন আমি রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে আমার শিশু সন্তানসহ আমার বসত করে ঘুমাই, এই সুযোগে নাজির হোসেন আমার বসতবাড়িতে আসিয়া অসৎ উদ্দেশ্যে আমার ঘরের দরজা কৌশলে খুলিয়া আমার ঘরে প্রবেশ করে, দরজা খোলার শব্দে হঠাৎ আমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে গেলে সৌরবিদ্যুতের লাইভ জালাইয়া নাজির হোসেনকে দেখিয়া ও চিনিয়া অনুনয় বিনয় বাদা নিষেধ করি, আমার বাধা নিষেধ অমান্য করে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে আমাকে জাবরাইয়া ধরিয়া খাটের উপর ফেলিয়া আমার পরিধানের কাপড়টা খুলিয়া বুকে হাতাহাতি সহ ধর্ষণ করার চেষ্টা করে,তখন আমি নিজেকে রক্ষা করার জন্য পাছড়া পাছড়ি সহ ডাক চিৎকার করিলে, আশপাশের লোকজন ঘুম হইতে জাগিয়া টস লাইট জ্বালাইয়া আগাইয়া দেখিয়া,আমার ২০ হাজার টাকার দামের মোবাইল সেট জোর করে কাড়িয়া নিয়া দৌড়াইয়া পালাইয়া যা, তখন আমি আমার স্বামী সহ আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করিয়া বিলম্বে থানায় এজাহার ডায়ের করিলাম,আসামি নাজির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ দেখায়,
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মো: আকবর হোসেনের বলেন, মামলাটি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।
সম্পাদক
ও প্রকাশক : মোঃ আজির উদ্দিন সেলিম