1. admin@dailyhumanrightsnews24.com : admin :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মৌলভীবাজারে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে চা বাগান ব্যবস্থাপকদের নিয়ে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত পূর্ব লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে এর সভায় প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া উত্তাপন জগন্নাথপুরে মহিলাসহ ২ জন পলাতক আসামী গ্রেপ্তার  নেত্রকোনায় নাশকতা মামলার আসামী গ্রেপ্তার জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার গুরুত্ব অপরিসীম- সিলেটে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ নেত্রকোনায় নাশকতা মামলার আসামী গ্রেপ্তার জগন্নাথপুরে মহিলাসহ ২ জন পলাতক আসামী গ্রেপ্তার  অপহরণ মামলার দেড় মাসেও উদ্ধার হয়নি ভিকটিম, আসামী গ্রেফতারে ব্যর্থ তিতাস থানা পুলিশ কমলগঞ্জে সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাগনা পরিচয়ে রেলের জমিদখল এবং মুরগীর ফিড দিয়ে মসলা তৈরী ও বাজারজাত করে রাতারাতি কোটিপতি মুহিত কুলাউড়ায় অসহায় মানুষদের মাঝে শমশেরনগর হাসপাতালের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

বিভাগ থেকে মূল্য নির্ধারণ না হওয়ায় রোদ-বৃষ্টিতে পঁচ নষ্ট হয়ে গেছে ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে পড়ে থাকা মূল্যবান গাছের গোলাই

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
  • ৪৭ বার পঠিত

আমিনুল ইসলাম,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
সংরক্ষণের অভাবসহ বন বিভাগের উদাসীনতার জন্য দিনাজপুর জেবনলা পরিষদের ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে দীর্ঘদিন থেকে স্তূপাকারে রাখা মূল্যবান বিভিন্ন গাছের গোলাই রোদ বৃষ্টি ভিজে পচেঁ নষ্ট হয়ে গেছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মূল্যবান গাছের গোলাইগুলো ডাকবাংলা চত্বরে ছিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ে থাকালেও জেলা পরিষদ থেকে গাছের গোলাইগুলো সংরক্ষণের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে পচেঁ গাছের গোলাইগুলো ইতোমধ্যেই ৯৫ ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ গাছগুলো দরপত্রের (টেন্ডার) মাধ্যমে বিক্রি করা হলে সরকার বিপুল অংকের অর্থ রাজস্ব পেতো। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসীনতার জন্য গাছের গোলাইগুলো পচে নষ্ট হওয়ায় সরকার সেই রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে পুরোপুরি বি ত হয়েছেন।
এদিকে দিনাজপুর জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদের ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে কর্তনকৃত সংরক্ষিত ভূত কড়াই গাছের ১৩ খন্ড, আকাশমির ৩ খন্ড, অর্জুন ১৩ খন্ড, কড়াই ১ খন্ড, শিশু ৯ খন্ড ও চম্পা গাছের ১ খন্ড গোলাই গাছের মূল্য নির্ধারণসহ মতামত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তারিখে ১৪১৫ নং স্মারকে জেরা পরিষদ থেকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দিনাজপুরকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে ওইসব কাঠের মূল্য নির্ধারণ প্রতিবেদন জরুরি ভিত্তিতে জেলা পরিষদ দিনাজপুর এর কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলেও সেই চিঠির কোনো উত্তর আজও পাওয়া যায়নি। ফলে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে পুনরায় চিঠি দিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
সরেজমিনের ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে দিয়ে দেখা যায়, ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ে জেলা পরিষদের রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনার গাছগুলো কর্তন করে গাছের গোলাইগুলো জেলা পরিষদের ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে খোলা আকাশের নিচে ছিটিয়ে ছড়িয়ে রাখা হয়। জেলা পরিষদ থেকে এসব গাছের গোলাই সংরক্ষণের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে বছরজুড়ে গাছের গোলাইগুলোর ওপর দিয়ে রোদ-বৃষ্টি বয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই গোলাইগুলোর ৯৫ ভাগই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সরকার রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বি ত হয়েছেন। সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়ে থাকলে সরকার রাজস্ব বিপুল অংকের অর্থ রাজস্ব পেত।
স্থানীয় কয়েকজন কাঠ ব্যবসায়ী ও ‘স’ মিল মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে পড়ে থাকা মূল্যবান গাছের গোলাইগুলো এখন মূল্যহীন হয়ে গেছে। পড়ে থাকা গোলাইগুলো জ্বালানি খড়ি ছাড়া অন্য কিছুই হবে না। এগুলো কেনার জন্য ক্রেতা পাওয়াও কঠিন হবে।
ফুলবাড়ী ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার ইস্রাফিল হোসেন বলেন, গত তিন বছর আগে জেলা পরিষদের বিভিন্ন রাস্তা ও স্থাপনায় থাকা আকাশমনি, শিশু, মেহগনি, আম, ইউক্যালিপটাস, ভুত কড়াইসহ বিভিন্ন গাছ কর্তন করে গাছের গোলাইগুরো ডাকবাংলো চত্বরে রাখা হয়েছে। শুনেছেন গাছের গোলাইগুলো টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত সেটি হয়নি বলেই সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এসএম নূরুজ্জামান জামান বলেন, এ বছরের ২০ এপ্রিল তেল গ্যাস জাতীয় কমিটির একটি অনুষ্ঠানে ডাকবাংলো চত্বরে গিয়ে শতাধিক মূল্যবান গাছের গোলাই পরিত্যক্ত অবস্থান দেখা গেছে। এগুলো তখনই পচঁ যাওয়ার মতো ছিল। সরকারের একটি ডাকবাংলো চত্বরে মূল্যবান গাছের গোলাইগুলো পঁচ নষ্ট হচ্ছে অথচ সংশ্লিষ্টদের এদিয়ে নজর নেই।
জেলা পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, জেলা পরিষদ থেকে বন বিভাগ আবার বন বিভাগ থেকে জেলা পরিষদ এই দুই দপ্তরের মধ্যে চিঠি চালাচালি করতেই দীর্ঘ সময় চলে যাওয়ায় গোছের গোলাইগুলো নষ্ট হয়ে যায় আবার কোনো কোনো সময় গোলাই খোয়াও যায়।
দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, জেলা পরিষদ থেকে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তারিখের ১৪১৫ স্মারকের পাঠানো কোনো চিঠি দপ্তরে পাওয়া যায়নি। তবে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) তারিখে পাঠানো একটি চিঠি পাওয়া গেছে। চিঠির বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে সংরক্ষিত গাছের গোলাইগুলোর মূল্য নির্ধারণসহ মতামত প্রতিবেদনের জন্য দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তারিখে ১৪১৫ নং স্মারকে চিঠি দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত সেই চিঠির কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বলেই গাছের গোলাইগুলো বিক্রির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তবে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) জেপদি/এক-০৭ (বিরামপুর)/২০২৪-২৫/৫১৯ নং স্মারকে গাছের গোলাইয়ের মূল্য নির্ধারণসহ মতামত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দিনাজপর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে পুনরায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে গাছের মূল্যনির্ধারণসহ মতামত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে গাছগুলো বিক্রির বিষয়ে আগামীতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park