সালেহ আহমদ (স'লিপক):
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৯নং আমতৈল ইউনিয়নের আটগাঁও গ্রামে দোকানকোঠা দখল করতে না পেরে এক পরিবারকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সামাজিকভাবে একঘরে (পঞ্চায়েত বিচ্ছিন্ন) করে রাখার খবর পাওয়া গেছে। সামজিকভাবে একঘরে করার পর তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছেনা।
গত ১৭ মে সদর উপজেলার আটগাঁও জামে মসজিদ থেকে এক-ই পঞ্চাযেতের লোক মোঃ আনকার মিয়া (৩০) এর পরিবারের উপর এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণার পর থেকে বিষয়টি কার্যকর করার জন্য তাদের কৃষি ও বিভিন্ন ফসলাদির ভূমিতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। যার ফলে তাদের অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একদিকে যেমন তাদের পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে, অন্যদিকে মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছেন তারা। তাদের মালিকানাধীন ভূমির বর্গা চার্ষীদেরে কৃষি ও ফসলাদি ফলন করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত কুতুব মিয়া, জিলা মিয়া, ছালিক মিয়া গংরা একজোট হয়ে মোঃ আনকার মিয়ার মালিকানাধীন আলহাজ্ব মোঃ তবারক মিয়া মার্কেটের পূর্ব পাশের ১টি দোকানের ভাড়াটিয়াদের নিকট হইতে চাবি নিয়ে দোকানটি ভালাবদ্ধ করে দেয়। গত ৪ মে দুপুরে আটগাঁও আলহাজ্ব মোঃ তবারক মিয়া মার্কেট এর পশ্চিম পাশে মুদি দোকানের ভিতর কুতুব মিয়া, জিলা মিয়া, ছালিক মিয়া গংরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে দোকানের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী সহ মূল্যবান জিনিষপত্রের ক্ষতি হয় এবং প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। এঘটনায় দোকানে বসা কিশোর বালক সহ ৫/৬ জন আহত হন।
এ ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা নং-০৫, তাং- ০৬/০৫/২০২৪ইং দায়ের করা হয়। আবারও গত ৩১ মে জুম্মার নামাজের পর কুতুব মিয়া, জিলা মিয়া ও ছালিক মিয়া গংরা একত্রিত হয়ে মালিকানাধীন আলহাজ্ব মোঃ তবারক মিয়া মার্কেটের পূর্ব পাশের দোকান কোঠাটি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। উক্ত জমি সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকাবস্থায় উপরোক্ত ব্যাক্তিরা বিজ্ঞ আদালত হইতে জামিনে মুক্তি পেয়ে পরিবারের সদস্যগনকে বিভিন্ন অশ্লীল গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করেন। বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন মামলা চলমান অবস্থায় সর্বশেষ ২৯ জুন উল্লেখিত আবারও ব্যবসা প্রতিষ্টান ও মালিকানাধীন ভূমির সামনে অবৈধভাবে একটি সীমানা পিলার স্থাপন করেন।
এব্যাপারে ভোক্তভোগী পরিবার ৫ জুন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে ৩০ জুন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। বর্তমানে ভোক্তভোগী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে।
সম্পাদক
ও প্রকাশক : মোঃ আজির উদ্দিন সেলিম