বার্তা সম্পাদক মোঃ ছাদিকুর রহমান ঃ

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে সিলেট -২ আসন (ওসমানী নগর বিশ্বনাথ) থেকে সংসদ সদস্য হতে চান
সিলেট পলিটেকনিক্যাল ইন্সিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাজ্য নিউপোর্ট আওয়ামীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি, ইন্জিনিয়ার হারুন-অর- রশীদ হারুন।

ইন্জিনিয়ার হারুন-অর- রশীদ হারুন বলেন আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান, আমি নিজেও স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি সাথে জড়িত। এখন ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে সাবেক হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছি। আমি স্কুল, কলেজ, ইউনিয়ন, উপজেলা ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি এবং মিথ্যার মামলায় ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে সিলেটে ১ম কারাবন্দী হিসেবে ১০১ দিন কারাবরন করেছি। তখন আমার পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।

বিগত বছরগুলো প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলায় কাজ করেছি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও অঙ্গ সংগঠনের প্রতিটি নেতা কর্মী সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি এলাকার রাজনীতিতে আমি প্রতিটি গ্রুপের উর্ধ্বে এবং আমার বিষয়ে কোন গ্রুপের দ্বিমত নেই। এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমি ও আমার পরিবার এলাকার মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছি। পরিবারের সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতেছি। আমার মরহুম পিতা হাজি আজমান আলী মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠন ও অবিভক্ত বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিসঠাতা ছিলেন।আমার বড় ভাই যুক্তরাজ্য নিউপোর্ট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের প্রতিসঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ছছোট ভাই মামুনুর রশীদ খলকু ওসমানী নগর উপজেলার আওয়ামী লীগের কায্যকরী কমিটির সদস্য ও সাবেক বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক এবং হুমায়ুন রশীদ মাসুম সিলেট জেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক ও ওসমানী নগর উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আর তারই ধারাবাহিকতায় আমরাও বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার অনুসারী হয়ে রাজপথে এখনো আছি। আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করে যাব।
আমার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ ও মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করা।
আমি প্রবাসী বালাগঞ্জ ওসমানী নগর এড্যুকেশন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। সেই সময় স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীসহ ও মন্ত্রী এমপিদের অতিথি করে প্রায় কোটি টাকার উপরে ছাত্র ছাত্রীদের নিকট নগদ হস্তান্তর করেছি।তখন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিজিট করেছি।
করুনা মহামারীতে আমার পিতা মাতার নামে প্রতিস্টিত আজমান আলী – জমিলা খাতুন ফাউন্ডেশন -এর মাধ্যমে অসহায় মানুষের নিকট খাদ্য সামগ্রী, গভীর নলকূপ, ঘর নির্মান সহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি।
তাই আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। যাতে মনোনয়ন পেয়ে আপনাদের পাশে সুখে দুঃখে থাকতে পারি ও এলাকার উন্নয়নের সাথে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অংশ নিতে পারি, এজন্য আমার এলাকাবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
তিনি আরো বলেন বিগত সময়ে বিএনপি জামাত হেফাজত সহ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছি এবং সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি সবর্দাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার চিন্তাচেতনাকে ধারণ করে কাজ করেছি। সকল পঙ্কিলতা, গুজব ও অপপ্রচারে বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে কাজ করেছি যা এখনো চলমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এক অগ্র সৈনিক হিসেবে আমার কাজ চলমান এবং সেই স্বপ্ন নিয়েই আমি সিলেট-২ আসনে কাজ করতে চাই।