রবি মিয়া ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামে সরকারি রাস্তার পাশ থেকে দুই লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাদশাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম মাষ্টার (৫০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা মেলে দুটি মেহগনি গাছ ও একটি রেইনট্রি গাছ কেটে স্বানীয় স'মিলে নেয়া হয়েছে। বাকি আরও তিনটি গাছ কাটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রফিকুল ইসলামের নিওজিত গাছ কাটার শ্রমিকরা।
রফিকুল ইসলাম উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিনের ছেলে। তিনি এলাকায় একটি মাধ্যমিক স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক। স্বানীয়ভাবে প্রভাবশালী এই শিক্ষকের এক ভাই সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সুনামগঞ্জ জেলার স্বানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী। অন্যজন নেত্রকোনা জেলার প্রধান হিসাবরক্ষক।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম এলাকায় সবুজে ঘেরা ঢালাই রাস্তার দু-ধারে বেশ বড় বড় বাহারি গাছের সারি রয়েছে।
অপরদিকে রফিকুল ইসলাম দাবি করে বলেন, এই গাছগুলো আমার বাবা জমিতে বপন করেছেন, এই রাস্তা সরকারি রাস্তা না। এই রাস্তার কাগজপত্র ও আর এস রেকর্ড এখনো আমার বাবার নামে তবে কিভাবে এই রাস্তা সরকারি হয়।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ এই জায়গা সরকারি, ডিসি খতিয়ানের জায়গা। তারা কৌশলে সরকারি এই জায়গা দখল করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বানীয় এক বাসিন্দা জানান, শুধু এই তিনটি গাছ নয় পূর্বেও রফিকুল ইসলাম এই রাস্তার পাশে আগে চার থেকে পাঁচটি গাছ কর্তন করেছেন।
সরেজমিনে এই বাসিন্দার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
যেহেতু তিনি সমাজে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, এটা সরকারি এল জি ইডির রাস্তা, তাই আমি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবকে বিষয়টি অবগত করি।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি পৈত্রিক জায়গা থেকে গাছ কাটছি, এছাড়া এই গাছগুলো আমার বাবার হাতে বপণ করা। আমার বিরুদ্ধে কেউ হয়-তো অপপ্রচার করছে যে আমি সরকারি জমি থেকে গাছ কাটছি।
যে রাস্তা দেখছেন এই রাস্তা আমাদের ব্যক্তিগত জমির ওপর দিয়ে গিয়েছে । আপনার নিজের রাস্তায় সরকারিভাবে ইট সলিং কিংবা ব্রিজ করেছে সরকার কেন এমন প্রশ্ন করল তিনি তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ধর্মপাশা বন বিভাগের কর্মকর্তা রবিন আহমেদ বলেন, উপজেলার বৌলাম এলাকায় আমাদের বন বিভাগের কোনো বনায়ন নেই। তবে এটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সাহেবে দেখার দায়ীত্ব উনি ব্যবস্থা নিবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, সরকারি রাস্তার পাশ থেকে গাছ কাটার কোনো সুযোগ নেই, কেউ যদি এই ধরনের কাজ করে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক
ও প্রকাশক : মোঃ আজির উদ্দিন সেলিম