হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সদ্য মেরামতকৃত জগন্নাথপুরের ডাকবাংলো ব্রীজে নতুন ফাটল দেখা দিয়েছে। এবং পানির স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানার স্তুপ পিলারে আটকে থাকায় ব্রীজটি আবারো ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যারফলে যেকোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।এমনকি জগন্নাথপুর পৌর শহরে যানজট এর সৃষ্টি হবে।
বিগত ২০২২ সালের ১৭ ই এপ্রিল সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরস্থ জগন্নাথপুর বাজারের বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া নলজুর নদীর উপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ডাকবাংলো ব্রীজটির মধ্যাংশ নীচের দিকে দেবে যাওয়া যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে করে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরস্থ খাদ্য গুদাম সংলগ্ন নলজুর নদীর উপরের ব্রীজটি সরু হওয়ায় জগন্নাথপুর পৌর শহরের যানজট উপজেলারবাসীর নিত্যসঙ্গী হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় জগন্নাথপুরবাসীর দীর্ঘদিন এর দাবীর পরিপেক্ষিতে পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর উদ্যোগে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে খাদ্য গুদাম সংলগ্ন নলজুর নদীর উপর পুরাতন সরু ব্রীজটি ভেঙে বর্তমানে নির্মাণাধীন আর্চ ব্রীজের কাজ করার লক্ষে এলজিইডির তত্বাবধানে চলতি সনের মার্চ মাসে পরিত্যক্ত ডাকবাংলো ব্রীজের দেবে যাওয়া জায়গায় পাঠাতন বসিয়ে ২৩ শে মার্চ যানবাহন চলাচল এর জন্য সচল করার পাশাপাশি পৌর শহরের হেলিপ্যাড এলাকায় বিকল্প সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে ওয়ানওয়ে হয়ে যানবাহন চলাচল করে আসছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে প্রবল বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি উজান থেকে ধেয়ে আসা পানির প্রবল স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানার স্তুপ ডাকবাংলো ব্রীজের পিলারে আটকে এবং ব্রীজের একটি অংশে নতুন ফাটল দেখা দেওয়ায় এই ব্রীজটি আবারো ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এবং পৌর শহরে ফের যানজটের সৃষ্টি হবে। ১৮ই জুন রোজ রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানাযায়,গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পাশাপাশি নলজুর নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই পানির স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানা ডাকবাংলো ব্রীজের পিলারে আটকা পড়ে নলজুর নদীর পশ্চিমাংশে বিশাল এলাকা জুড়ে স্তুপের সৃষ্টি হয়েছে। স্তুপের উপর দিয়ে কৌতুহলী জনসাধারণ হাঁটাচলা করছেন। পিলারে-পিলারে কচুরিপানার স্তপ আটকা পড়ে পানি চলাচলে বিঘ্নের সৃষ্টি হয়ে ব্রীজের উপর চাপ বেড়েছে। এবং গত ১৬ ই জুন এর ভূমিকম্পে ব্রীজের একাংশে নতুন ফাটল দেখা দিয়েছে। সবমিলিয়ে ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ব্রীজটি ভেঙে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।বিধায় জনস্বার্থে আটকে পড়া কচুরিপানা অপসারণ সহ ব্রীজের ফাটলের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্ট কামনা করছেন উপজেলার সচেতন মহল। এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে এই কচুরিপানা সরানোর কাজে শ্রমিকরা কাজ করছেন।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে স্রোতের সাথে ভেসে আসা কচুরিপানা ব্রীজের নীচে পিলারে-পিলারে আটকা পড়ে স্তুপ হয়ে থাকায় পানি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কচুরিপানার স্তুপ সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেখতে পাচ্ছেন ইতিমধ্যে কচুরিপানা সরানোর কাজ চলমান রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ব্রীজের ফাটলের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন এর মুঠোফোনে কল দিয়ে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারনে আলাপ করা যায়নি।