স্টাফ রিপোর্টারঃ
আষাঢ় মাস শুরুর আগেই বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সিলেট নগরীর নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা। সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়েছে মানুষের বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এতে নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
এদিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে সড়কে কাজ করায় এই জলাবদ্ধতা দাবি করে নগরীর কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় জনতা। এসময় জালালাবাদ থানা পুলিশের একটি ঠিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
১৪ জুন রোজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
জানা গেছে, নগরীর বর্ধিত ৩৮ ও ৩৯ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করে কুমারগাঁও থেকে বাদাঘাট হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নীত কাজ শুরু হওয়ার পর অল্পবৃষ্টিতে হয় জলাবদ্ধতা। বুধবার সাকলের বৃষ্টিতে ঐ দুই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে মইয়াছড়, নয়া কুরুমকলা, নাজিরেরগাঁও শিমুলতলা এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন।
এসময় স্থানীয়রা জানান, আজ ১৪ জুন রোজ বুধাবর এর মধ্যে দাবি মানা না হলেও তারা সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখবেন।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম সিলেটভিউকে জানান, বৃষ্টিতে ৩৮ ও ৩৯ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, বেশি পরিমাণ বৃষ্টির কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। সিটি করপোরেশনের টিম কাজ করছে। কোথাও ময়লা-আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, রাতে ও সকালের কিছু সময় সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬ থেকে ৯ পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটা স্বাভাবিত বৃষ্টিপাত। আজও সারাদিন থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে।