মোঃ শিহাব উদ্দিন
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের লেবুতলা সড়াবাড়ী গ্রামের জাবের শেখের ছয় বছরের মেয়ে মারজিয়া খানমকে ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের বাড়ির পাশের সম্পর্কে চাচা রুস্তুম শেখের ছেলে আলমগীর শেখের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, মারজিয়া খানম লেবুতলার সড়াবাড়ি আলোর পরশ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাশ ওয়ানের ছাত্রী। বাবা সামান্ন একটি মটর গাড়ির গেরেজ ব্যবসা করে সংসার চালায়। প্রয়ই আসামী আলমগীর শেখ মারজিয়া ও তার সাথে একই ক্লাশের বান্ধবী আনিকাকে পাশের দোকান থেকে চকলেট বিস্কুট এর লোভ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে নিয়ে নির্যাতন করতো।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এই আলমগীর শেখের নির্যাতনের শিকার হয়ে এলাকার ভিটাবাড়ি বিক্রি করে চলে গেছে নেয়ামত শেখের পরিবারের লোকজন। এলাকাবাসীরা আরো বলেন, একই এলাকার বীনয় কিত্তনীয়ার স্ত্রী মনি কিত্তনীয়ার সাথে জোর করে ধর্ষনের চেষ্টা করার সময় স্বামী দেখে ফেলে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে পরে তিনি মারা যান। বীনয় কিত্তনীয়ার মৃত্যর পর থেকে ঐ পরিবারের উপর অমানবিক অত্যাচার করে আসছে এই পাষন্ড আলমগীর। লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারে নাই এই পরিবারের লোকজন। এই আলমগীরের কুকর্মের কাহিনী এলাকাবাসীর কাছে খুব সুপরিচিত। এব্যপারে কেউ কিছু বলতে গেলে এলাকার কিছু প্রভাবশালী মহলের লোকজনের বাঁধায় আলমগীরের কুকর্ম ধামাচাঁপা পড়ে যায়।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগীর বাবা জাবের শেখ বলেন, আমার মেয়ের বয়স মাত্র ৬ বছর, আমার মেয়ে প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী, আলমগীর আমার প্রতিবেশী সম্পর্কে আমার মেয়ের চাচা। ও আমার মেয়ের সাথে যা করেছে তাতে ওকে ফাঁসী দিলেও ওর কুকর্মের ফল শেষ হবে না, আলমগীর মানুষ না ও একটা পশু। আমি এই মানুষ রূপের পশুর বিচারের দাবী জানাই।
এ ব্যপারে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা এস,এম কামরুজ্জামান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আসামী আলমগীরকে আটক করেছি। এ ব্যপারে নারী ও শিশু নির্যাতন এর ১০ ধারায় যৌন পিরন অপরাধে মামলা হয়েছে, মামলা নং-৭ । তিনি আরো বলেন টুঙ্গিপাড়ায় আমি মাদক ও ধর্ষন মামলায় জিরো টলারেন্স দিয়েছি। এই সকল অপরাধিদের আইনত বিচার হবেই।