হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
হাতিরঝিল সেতুর আদলে জগন্নাথপুরে দৃষ্টি নন্দন নলজুর সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।এতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা হলেও জগন্নাথপুরবাসীর মাঝে আনন্দ উল্লাস বিরাজ করছে।
নদী মাতৃক বাংলাদেশের ভাটির জনপদ হাওর কন্যা খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজারের বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া নলজুর নদীর উপর, উপজেলা সদরস্থ খাদ্য গুদামের সন্নিকটে রাজধানী শহর ঢাকার হাতিরঝিল সেতুর আদলে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যায় সাপেক্ষে দৃষ্টি নন্দন নলজুর সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এতে হেলিপ্যাড এলাকা দিয়ে বিকল্প সরু সেতু ও ডাকবাংলো সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন ও পায়ে হেঁটে চলাচলে জনসাধারণের সাময়িক অসুবিধা হলেও জগন্নাথপুরবাসীর মাঝে আনন্দ উল্লাস বিরাজ করছে। কেননা এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে উপজেলা সদরের যানবাহনজট নিরসন হবে। এবং জেলা শহর সুনামগঞ্জ ও বিভাগীয় শহর সিলেটে কম সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন উপজেলাবাসী। পৌর শহর হবে আলোকিত ও ছোটখাটো দুর্ঘটনা মুক্ত। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানাযায়, জনদুর্ভোগ লাঘবে ১৯৮৯ সালে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরস্থ খাদ্য গুদামের সন্নিকটে নলজুর নদীর উপর সরু সেতু নির্মাণ করা হয়। সরু এ সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত যানজট এর সৃষ্টি হয়ে আসছিল। যানজট নিরসনের লক্ষে উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিন এর দাবীর পরিপেক্ষিতে পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর উদ্যোগে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যায় সাপেক্ষে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের এই সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। সেতুর দুই পাশে ফুটপাত থাকবে। রাতে সেতু এলাকা আলোকিত রাখতে বিশেষ লাইটিং ব্যবস্থা থাকছে। কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জের মেসার্স ভাটি বাংলা এন্টারপ্রাইজ।২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসের মধ্যেই সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বিগত ২৪ চে মার্চ পুরাতন সেতুটি ভাঙা শুরু হয়। ২৬ শে মার্চ পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ইতিমধ্যে পুরাতন সেতুর ভাঙন কাজ শেষ হয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার সচেতন মহল তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, পুরাতন সেতুটি সরু হওয়ায় প্রতিনিয়ত ব্রীজ সহ আশপাশ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হতো। অনেক সময় অপচয় হয়েছে। ছোট খাটো দর্ঘটনারও সম্মূখীন হতে হয়েছে যানবাহন যাত্রী ও পথচারীদের। এই সেতুটি নির্মাণাধীন হওয়ায় সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে । এতে সমস্যা নেই। কেননা সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলে যানজট নিরসন হবে এবং যথাসময়ে দৈনন্দিন কাজে বিভাগীয় শহর সিলেট ও জেলা শহর সুনামগঞ্জ সহ দেশের যেকোনো প্রান্তে যাওয়া যাবে। যাতে জনস্বার্থে দ্রুততার সহিত সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আশাকরি আগামী জানুয়ারী মাসের মধ্যে জনসাধারণ এর জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হবে। জনগণের ভোগান্তি লাগবে ডাকবাংলো সেতু ও হেলিপ্যাড এলাকায় সেতু দিয়ে এক মূখো যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রাজধানীর হাতিরঝিল সেতুর আদলে দৃষ্টি নন্দন আর্চ সেতু বাস্তবায়িত হলে শহরের সৌন্দর্য বর্দ্ধন হওয়ার পাশাপাশি যানজট নিরসন হবে।