1. admin@dailyhumanrightsnews24.com : admin :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জিয়া মঞ্চ সিলেট জেলা শাখার সদস্য সচিবের মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ মৌলভীবাজারে ৯ দিনব্যাপী সেবাইত প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান ও সনদপত্র বিতরণ জগন্নাথপুরের আ,লীগের দুই নেতা ও এক মাদক ব্যবসায়ী কারাগারে বোয়ালখালীতে শ্যামা পূজা উপলক্ষে বোয়ালখালী প্রশাসন ও প্রেসক্লাবে বীণাপাণি সংগঠনের নিমন্ত্রণ পত্র হস্তান্তর   জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কমলগঞ্জ উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের মেধা শিক্ষাবৃত্তি পুরস্কার, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান ভোলায় জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত পঞ্চগড়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নবম শ্রেণী স্কুলছাত্রের মৃত্যু পঞ্চগড়ে চেয়ারম্যান’কে মাদকসহ ফাঁসাতে গিয়ে জনতার কাছে অবরুদ্ধ বিজিবি কমলগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

মিতু হত্যার চার্জশিটভুক্ত আসামি কালু গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
  • ১০১ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার চার্জশিটভু্ক্ত আসামি খাইরুল ইসলাম কালুকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

শনিবার ভোরে পিবিআই নগরীর বিশ্বকলোনী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। পিবিআইয়ের সহকারী পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত কালু মিতু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া চার্জশিটভুক্ত আসামি। খাইরুল ইসলাম কালু মোটরসাইকেল থেকে মিতুকে টার্গেট করে গুলি করেছিল।

রাঙ্গুনিয়া থানার একটি মামলায় পিবিআই কালুকে গ্রেপ্তার করেছে জানিয়েছে থানার ওসি মাহবুব মিল্কী বলেন, মিতু হত্যা ছাড়াও ২০১২ সালে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি মামলার পলাতক আসামি ছিলেন কালু। পিবিআই তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে।

মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। সেখানে মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলকেই খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খুনের দিন কালু মিতুকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন বলে পিবিআইর দাবি।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। বাবুল তার কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বদলি হয়েছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের ১৯ দিন পর ওই বছরের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুলকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। তার কিছু দিন পর পুলিশের চাকরিও ছেড়ে দেন তিনি।

বাবুলকে জিজ্ঞসাবাদের দুদিন পর ২৬ জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে দুজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় পুলিশ। তারা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছার ‘পরিকল্পনাতেই’ এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।

জবানবন্দিতে ওয়াসিম জানান, নবী, কালু, মুছা ও তিনি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। নবী ও কালু মিতুকে ছুরিকাঘাত করেন।

খুনের পর মুছার সন্ধান এখনও জানা যায়নি। তার স্ত্রী পান্না আক্তার ২০১৬ সালের ৪ জুলাই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন, ওই বছরের ২২ জুন বন্দর থানার তৎকালীন ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বন্দর এলাকায় তার এক পরিচিত ব্যক্তির বাসা থেকে মুছাকে ধরে নিয়ে যান।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ দাবি নাকচ করে দিয়েছিল। এর তিন মাস পর ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর সিএমপি তৎকালীন কমিশনার ইকবাল বাহার মুছা ও কালুর সন্ধান পেতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।

তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে ২০২১ সালের মে মাসে ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। তখন বাবুলকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

তবে আদালতের নির্দেশে সেই মামলার সমাপ্তি ঘটে এবং বাবুলের মামলাটিই পুনরুজ্জীবিত হয়। এ বছরের ৯ এপ্রিল প্রথম সাক্ষী মিতুর বাবা মোশাররফের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাবুলসহ সাত আসামির বিচার শুরু হয়।

বাবুল ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু।

হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পূর্তির তিন দিন আগে কালু গ্রেপ্তার হলেও মুছা এখনও পলাতক।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park