মোঃ রাকিব হোসেন, গাজীপুর সদর মেট্রো থানা প্রতিনিধিঃ আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহ নূর ইসলাম রনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এদের অনেকেই দলে সক্রিয়। আবার কেউ প্রকাশ্যে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ না নিলেও এক সময় দলে তাদের সরব উপস্থিতি ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সফি উদ্দিন সফি এবার নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তিনি টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন আব্দুর রহমান। তিনি এবং তার পরিবার এলাকায় বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত। একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি একসময় বিএনপির পদধারী নেতা ছিলেন। এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো বলে জানা গেছে।
একইভাবে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিলন হোসেন, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হোসেন ও সেলিম মিয়া প্রার্থী হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই বিএনপির সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর হোসেন আলম। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন শ্রমিক দল নেতা ফয়সাল আহমাদ সরকার, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বাসন থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা এবারও প্রার্থী হয়েছেন। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মো. তানভীর আহম্মেদ, সদর মেট্রো থানার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা ছবদের হাসান প্রার্থী হয়েছেন।
এ ছাড়াও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা মাহবুবুর রশিদ খান শিপু, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে মজিবুর রহমান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হান্নান মিয়া হান্নু, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হাসান আজমল ভুঁইয়া, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা খায়রুল আলম ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জিএস মনির হোসেন কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন।
৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থক সাবেক কাউন্সিলর মো. মাহফুজুর রহমান, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে গাছা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে পুবাইল থানা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম বিকি, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা সুলতান উদ্দিন আহমেদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বিএনপির গাজীপুর মহানগর বাসন থানার আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের বিষয়ে দল থেকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেউ নির্বাচন করলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে কাউন্সিলর পদে কেউ নির্বাচন করলেও আমরা তার সঙ্গে নেই।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য হাসান সরকার বলেন, আমাদের দল থেকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়নি। কেউ যদি কাউন্সিলর নির্বাচন করেন, করতে পারেন। আমরা তাদের নির্বাচন করবো না। দল থেকে সিদ্ধান্ত পেলে তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শওকত হোসেন বলেন, কেউ নির্বাচনে দাঁড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে দল এখনো জানায়নি। তবে নির্বাচন করা যাবে না, এমনকি ভোট কেন্দ্রে না—যাওয়ারও দল থেকে নির্দেশনা আছে। দল আমাদের হয়তো দু’এক দিনের মধ্যে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।