আগেই জবাবটা লিখে দেওয়া হয়েছিল।

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ জানানোর পেছনে একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক আছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করার আগে জবাবটা লিখে দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, লাশ পড়লে বিএনপি খুব খুশি হয়। কারণ, তখন পাবলিক সেন্টিমেন্ট পাওয়া যায়। আর ঘটনা ঢাকায় হওয়ার আগেই তা ওয়াশিংটনে চলে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের ইনানি বিচে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তবে সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, এখানে কত প্রাইভেট টেলিভিশন আছে। নো ওয়ান ইজ আন্ডার প্রেশার (কেউ চাপে নেই)। অন্যান্য দেশে, আমি কিছু দিন আগে কপ-২৭ এ মিসরে গিয়েছিলাম। শুনেছি, সেখানে সরকারের কথা ছাড়া কেউ কোনো কথা বলতে পারে না। বাংলাদেশ ইজ নট লাইক দ্যাট (বাংলাদেশ সে রকম নয়)। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের একটা কারণ হচ্ছে, আমাদের এক সাংবাদিক, তিনি এটা উসকে দেন।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস এবং জাতিসংঘ- দুই জায়গাতেই প্রবেশাধিকার আছে সেই সাংবাদিকের। দেশে কিছু হলেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করেন, উত্তরও পেয়ে যান। উত্তরটা তিনি (সাংবাদিক) লিখেও দেন, খুদে বার্তা পাঠান। এ জন্যই যুক্তরাষ্ট্র এত অগ্রগামী।