ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধটি শেষ পর্যন্ত জনতার ঐক্যবদ্ধ ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রাথমিকভাবে রিং বাঁধ দিয়ে আটকানো সম্ভব হয়েছে।

মোক্তার হোসেন। কয়রা খুলনা প্রতিনিধি।১৯ জুলাই। মঙ্গলবার।দক্ষিণ খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের কপোতাক্ষ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারে প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধটি শেষ পর্যন্ত জনতার ঐক্যবদ্ধ ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রাথমিকভাবে রিং বাঁধ দিয়ে আটকানো সম্ভব হয়েছে।কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের ঐ বাঁধটি গত রবিবার ভোর রাতে ভেঙ্গে গিয়ে প্রায় সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪/১পোলডারেরবেড়িবাঁধ ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।শত শত বিঘা জমির মৎস্য ঘের ডুবে যায়। অসহায় হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা।
স্হানীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবুর নির্দেশনায় এবং স্হানীয়ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আছের আলীর নেতৃত্বে হাজার হাজার জনতার আন্তরিক সহযোগিতায় ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অক্লান্ত পরিশ্রমে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধটি রিং বাঁধ দিয়ে আটকানো সম্ভব হয়েছে।
স্হানীয়ভাবে জানা গেছে সকাল থেকে পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় নিজ নিজ প্রচেষ্টায় কাজ করে, প্লাবিত এলাকার পানি আটকাতে পেরেছে। কিন্তু দ্রুত মাটি দিয়ে উচু না করলে বড় জোয়ার আবার ও বাঁধটি ভেঙ্গে গিয়ে প্লাবিত হতে পারে।
দক্ষিণ বেদকাশী অঞ্চলের স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুব সংঘের সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ বলেন,বাঁধটি যদি একবার ভেঙ্গে যায় তবে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন বিনষ্ট হয়ে পড়ে। তিনি আরো বলেন, এই ইউনিয়নের আরও তিনটিপয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভঙ্গুর ও নাজুক অবস্থায় রয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ মশিউল আলম বলেন,এহেন অবস্থায়সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবুর নির্দেশনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় হাজার হাজার জনতার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে পানি আটকাতে সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, উক্ত এলাকার জন্যজাইকার অর্থায়নে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বাজেট পাশ হয়ে আছে।যা দ্রুত কাজ শুরু হবে।
মাননীয় সংসদ সদস্য জানান, অচিরেই এই পরিস্থিতিতে আমরা পানি আটকাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করাব এবং মূল ক্লোজারের কাজ করা হবে।