আইনজীবী সহকারীকে পিটিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
জালিস মাহমুদ, পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সদস্য তাজউদ্দিন আহম্মেদকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারসহ বিচারের দাবিতে মানবন্ধন, প্রতিবাদ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
১২ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে শহরের টাউনক্লাব সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধন শেষে প্রতিবাদ মিছিল করে জেলা প্রশাসক এবং জেলা জজ আদালতের সামনে বিক্ষোভ করে নিহত তাজউদ্দিন আহম্মেদের পরিবার ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তাজউদ্দিন আহম্মেদের বাবা শহিদুল ইসলাম সালাম, স্ত্রী রীমা বেগম, কদমতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, ইউপি সদস্য রিয়াজ হোসেন উজ্জল, আলী সিকদার, মাওলানা আব্দুল আলীম। এসময় বক্তারা বলেন, দিনে দুপুরে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ স্ট্যান্ডে একজন নিরীহ মানুষকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা একটি বর্বরোচিত ও লোমহর্ষক ঘটনা।
প্রতিদিনের ন্যায় তাজউদ্দিন আহম্মেদ জজ কোর্টে পেশাগত দায়িত্ব পালন কাজে যাচ্ছিলেন। এসময় সন্ত্রাসীরা তাকে হামলা করে তার সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও ৮ দিনেও কোন আসামিকে গ্রেপ্তার হয়নি। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন অভিযুক্ত আল আমিন সিকদার, স্বাধীন সিকদার, শামীম সিকদার, কামালসহ সকল আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানায় নিহতের পরিবার। বক্তরা আরও বলেন, সরকারি কলেজের সামনে এর আগেও অটো টেম্পু স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন অবগত থাকলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। তাই এ অটো স্ট্যান্ডটি অবিলম্বে তুলে দেয়ার দাবি জানান বক্তারা।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.জ.মো: মাসুদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে সদর থানায় দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ০৪ জুলাই সকালে জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সদস্য তাজউদ্দিন আহম্মেদ সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ মোড়ে অটোস্ট্যান্ডে আসলে তাকে হামলা করে পিটিয়ে আহত করে এবং তার সাথে থাকা টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসী। আহত তাজউদ্দিন আহম্মেদ উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতালে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পরে তিনি মারা যায়।