রাস্তা দখল করে দোকানপাট ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের

উমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ওকড়াবাড়ি নামে একটি বাজারে সরকারি রাস্তা বন্ধ করে দীর্ঘদিন ধরে ১২ টি দোকানপাট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে এতদিন ধরে মন্দিরেৱ রাস্তা দিয়ে চলাচল করত মানুষ । গেল বছর রাস্তা পাকা করন করা হলেও রেকর্ডেওয় রাস্তা উপর ১২ টি দোকান থাকায় রাস্তা পাকা করণ সম্ভব হয়নি । এমনই চিত্র দেখা গেছে বোদা উপজেলার কাজলদিঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ওকড়াবাড়ি বাজারের , মন্দির কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বললে, অরুণ চন্দ্র রায়, শংকর চন্দ্র, দেবাশীষ রায়, হরকুমার রায়সহ সকল সদস্যরা মিলে সাংবাদিকদের একটি লিখিত অভিযোগ দেন, এবং তারা বলেন, বাগানবাড়ি শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির টি প্রায় ৭০ বছর ধরে এই দুর্গামন্দির ৭ গ্রামের মানুষ প্রতিবছর শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে । এই মন্দিরটি আগে মালিকানা জমির উপর ছিল। ৫১ নং এস এ খতিয়ানের ৬৯৪ দাগে ৩২ শতক জমির মধ্যে মন্দিরে ১২ শতক জমি দান করেন ১৯৯০ সালে নকল চন্দ্র রায়, কালুয়া বর্মন এবং লালটু বর্মন নামের তিন ব্যক্তি। তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরে জায়গায় রাস্তা বানিয়ে চলত এলাকার লোকজন । কিন্তু এখানে ৭ গ্রামের মানুষ পূজা করায় আমাদের জায়গা কম হয়। রেকর্ডেয় রাস্তার উপরে যে দোকান গুলি ছিল দোকান মালিকদের দীর্ঘদিন ধরে বলে আসা হচ্ছে দোকান গুলি সরিয়ে দিয়ে রাস্তা করে দিতে । কিন্তু কে শুনে কার কথা। আমরা বাধ্য হয়ে ৩ মার্চ ২০২০ সালে মন্দির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মালিকানা জমি পাকা রাস্তা না করে প্রকৃত রেকর্ডিং রাস্তা পাকা করন প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহি অফিসার, উপজেলা ভূমি অফিস বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। এবং অভিযোগের পরে তারা তদন্তে আসছিল । এবং উচ্ছেদের পরিকল্পনা করেছিল নির্বাহি অফিসার, পড়ে তিনদিনের সময় নিয়েছিল দোকানিরা । এবং তিন দিনের মধ্যে আমাদের নামে পরিকল্পিতভাবে পঞ্চগড় বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। এতে বিভিন্নভাবে হয়রানি শিকার করে আছেন তারা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ৪ থেকে ৫ গ্রামসহ বাজারে এটিই একমাত্র রাস্তা। দোকানিদের বার বার বলা সত্যিও সরিয়ে নেননি দোকান গুলো। আমারা বাধ্য হয়ে আমাদের সিমানা অনুযায়ী ইটের পেরাচি দেই। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে রাস্তাটি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন মন্দির কমিটি সহ ক্রেতা, সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসী। কয়েকজন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বতর্মান রাস্তাটি বন্দ হয়ে যাওয়ায়, অটো ভ্যান, মাইক্রেবাস, সিএনজি, ট্রাকট্রর সহ কোন যানবাহনে চলাচল করতে পারছেননা। চলাচল করতে হচ্ছে স্কুলের মাঠ দিয়ে। এতে স্কুলের মাঠ এই বর্ষা মৌসুমে এক হাটু কাদায় পরিনত হয়েছে। স্থানীয়দের সাথে আরও কথা বলে জানা গেছে, আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিনই হাজারো মানুষ এখানে আসে বাজার করতে। এই ১২ টি দোকানের জন্য রাস্তা দখল করায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। দখলদারদের তালিকায় মো: আব্দুছ ছালাম, মো, নজরুল ইসলাম, মো: আব্দুল বাসার, মো: সাইফুল ইসলাম, আবুল বাসার, আব্দুস সালাম, ম: মকছেদ আলী, সুপিয়ার রহমান, আব্দুর রাসেদ, মো: সম্রাট আলী, মো: নজরুল ইসলাম, মো: আলগীর, মো: রুবেল এদের মোট ১২ টি দোকান। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আরএস অনুযায়ী নয়, বিআরএস রেকর্ড মোতাবেক পেরিফেরি করা জমিতে অনুমতি বা লাইসেন্স ব্যতীত কেউ নতুন দোকান দিতে পারবে না। আর কাগজপত্র বা অনুমতি না থাকায় ঘরটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে বোদা উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার মো: ইমরানুজ্জামান বলেন, আমরা অনেক আগে একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ নিয়ে তদন্ত হয়েছিল । পরে ওরা মামলা করার কারণে বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে । তবে দুই পক্ষকে জমির উপরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । এ বিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহি অফিসার, সোলেমান আলী বলেন, মন্দির কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক আমার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন অভিযোগ পাওয়ারর পর আমরা তদন্তে গিয়েছিলাম তবে দোকান ঘরগুলি রেকর্ডিংয়ে রাস্তার উপরে আছে আমি তাদেরকে দোকান সরিয়ে নেওয়ার কথা বলি তারা আমাৱ কাছে তিনদিন সময় নিয়েছিলেন এর মধ্যেই তারা পঞ্চগড় বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মামলা করেন, বর্তমান মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে, পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।