কয়রায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়ে ও দরপতনে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ।

মোক্তার হোসেন, কয়রা খুলনা প্রতিনিধি।
২৩ মে। সোমবার।খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তরমুজের সাইজ ও যতেষ্ট ভালো ছিল। কিন্তু দরপতনের কারণে কৃষকের সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে।সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এ বছর কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়ন, বাগালী ইউনিয়ন,মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে প্রায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করছেন কৃষকরা। গত বছর ছিল ৬৫০ হেক্টর। তুলনামূলক ভাবে ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।গত বছরের চেয়ে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু ঈদের পর থেকে হঠাৎ দাম পড়ে যাওয়াতে অধিকাংশ কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একজন তরমুজ চাষী হতাশ ও বিরক্ত কন্ঠে বলেন, আমি গত বছর যৌথভাবে ২৬ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করে ১২ লাখ টাকা লাভবান হয়েছিলাম। আমি পেয়েছিলাম ৬ লাখ টাকা।এ বছর সেই আশা নিয়ে সুদে করে টাকা নিয়ে ৩৬ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছি।তরমুজ হয়েছে ব্যাপক ভাবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরাতরমুজের দাম বলেছেন গড় প্রতি ৭ টাকা কেজি। তাতে করে আমার খরচের অর্ধেক ওউঠবে না।
বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে শত শত তরমুজ চাষীদের মাঝে কষ্টের কথা। হঠাৎ দরপতনে তরমুজ বিক্রি না হওয়ায় তরমুজ নিয়ে স্বপ্ন দেখা চাষীদের চোখে মুখে হতাশ ও বিস্ময়ের চিহ্ন দেখা গেছে।তারা এখন খরচের টাকা তোলাটা ছেড়ে দিয়েছেন ভাগ্যের উপর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন,এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে হঠাৎ করে দাম পড়ে যাওয়াতে বেশিরভাগ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।এ ব্যাপারে আমরা কৃষকদের মৌসুমের পূর্বে তরমুজ চাষের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।যার ফলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছি।