রিমু আক্তার কি স্কুলে ফিরতে পারবে

উমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :আব্দুর রহিম ওরফে নাতুলসহ ক একজন প্রভাবশালী বখাটের এলোপাথাড়ি মারে পিঠের হারের সমস্যায় ভুখছেন পঞ্চগড়ের হাফিজাবাদ ইউনিওনের মারুপাড়া এলাকার রিমু আক্তার । তাকে এলোপাথাড়ি মারে এবং তার মা বাবাকে মুখের সামনে মারতে দেখে নিস্তব্ধ হয়ে গেছে রিমুর হাসিমাখা মুখ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কিশোরী রিমু কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আসলে বতর্মানে পায়ে ভর দিয়ে দারাতে পারছেন না এমনকি ঘুমানোর সময়ও তাকে খুব কষ্ট করে এভাবেই থাকতে হয়েছে। বয়সে বা কত রহিম , সেলিম ও আজিজুর রহমান বাঘের মত থাবা দিয়ে ধরে কিশোরীকে আর এলোপাথাড়ি ভাবে মারতে থাকে। আজিজুর রহমান তো তার দুই হাত দিয়ে সজোরে গলা চিপে ধরে এবং শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে । পরণের কাপর চৌপর ছেরে ফেলে পাষন্ডরা। রিমু আক্তার পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। তবে পরিবারের লোকজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সিধান্ত নিছেন। রিমুর বাড়ি পঞ্চগড় জেলা সদর উপজেলার ২ নং হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মারুপাড়া গ্রামে। বাবা ধামাল উদ্দিন , ‘ রিমুর বাবা কৃষিকাজ করেন। নিজেদের বাড়িঘর ছাড়া তেমন জমিজমা নেই। মেয়েটা ভালো ছাত্রী। ক্লাস ফাইভ থেকে তার রেজাল ভালো আর সেই মেয়ের এই হাল। বখাটের হামলার ঘটনাটি ছিল ঈদের দিন মঙ্গলবার ( ৩ মে ) ঈদের দিন থাকায় বাসার সামনে বের হয় রিমু। বাসার সামনে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে তার মা বাসা থেকে বেরিয়ে আসে। এবং তার বড় আব্বা ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় আসতেছে। এসময় চিৎকারে তার বড় আব্বা মোঃ কামাল উদ্দিন ছুটে-আসলে তার চোখের মধ্যে ঘুসি মারে । একপর্যায়ে চেচামেচিতে এলাকাবাসীসহ দুই পরিবারের লোকজন জড়ো হন । রহিম এসময় বুদ্ধি খাটিয়ে মো: ধামালের জমিনে লাগানো সুপারি গাছ উঠিয়ে ফেলতে শুরু করে । এবং বলেন ট্রাক্টর বা টলি চলাচলের জন্য আমাদের এক শতক জমি দিতে হবে । কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করছিল রহিম । এটা কাউকে সে বুঝতে দেননি। পরে জমির জের ধরে বসেছে এক শতক জমি লাগবে । ধামাল এর লাগানো সুপারের গাছ উঠিয়ে ফেলে বাঁশের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে রহিম । এসময় রহিমের পক্ষ নিয়ে তফিজুল ইসলামের ছেলে অভিযুক্ত বখাটে আব্দুর রহিম ওরফে নাতুল ( ৪০ ) এছাড়াও তার সহযোগী মো: শামসুল হকের ছেলে মো: আলম ( ৩২ ) মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে , মোঃ নজরুল ইসলাম ( ৪৫ ) মো: মকতাল হোসেনের ছেলে, আজিজুর রহমান ( ৩৫ ) দবির উদ্দিনের ছেলে, তফিজুল দেবারু ( ৫৮ ) শামসুল হককের ছেলে ,আনোয়ার হোসেন ( ২৬ ) তফিজুল ইসলামের ছেলে , মোঃ রুবেল ( ২৮ ) নজরুল ইসলামের ছেলে , সেলিম ইসলাম ( ২২ ) সহিদুল ইসলামের ছেলে , মো: ওলিউল্লাহ (৩৮ ) এরা সবাই ২নং হাবিজাবাদ ইউনিয়নের মারুপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা। এরা দশ-বারোজন হাতে লাঠি, সোটা, লোহার রড ধারালো সোরা, কোদাল নিয়ে হাজির হন সেখানে । এবং কিছু না বুঝেই তফিজুল দেবারুর হুকুমে পরিবারের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে তাতের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে বেয়াইনী ভাবে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করতে থাকে ৪ জনকেই। একপর্যায়ে কিশোরী মাটিতে পড়ে গেলে সেলিম ইসলাম কিশোরীর পরনের কাপড় চোপড় টেনে ছিড়ে ফেলে। ওই অবস্থায় আজিজুর রহমান কিশোরীর বুকের উপর চড়ে বসে। তার দুই হাত দিয়ে সজোরে গলা চিপে ধরে এবং শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে । মা ও মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে আব্দুর রহিম ও তার সহযোগীরা। এতে কিশোরীর মায়ের বাম হাতের মধ্য আঙ্গুলে লেগে গুরুতর হারকাটা জখম হয় । এতে আঙ্গলের মধ্যে দুটি সেলাই করা হয়েছে। কিশোরীর বাবা ধামাল এর মাথার মধ্যভাগে সজোরে চোট মারলে প্রচুর রক্ত খনন হয় এবং ঘটনা স্থলে বেহুজ হয়ে পরে। মাথায় চোট লাগার কারণে গুরুতর হাড় কাটা জখম হয় । যা মাথার মধ্যে ৫ টি সিলাই রয়েছে। এবং কিশোরীর বড় আব্বা কামাল উদ্দিন কে রহিমের সহযোগীর কবল থেকে প্রাণে বাঁচাতে আসলে, তাকে লোহার রড দিয়ে মুখ বরাবর হুল মারিলে, চোখের নিচে লেগে কালশিরা ফুলা জখম হয় । এসময় ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন । এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা বলেন, নাতুল আমার মেয়েকে প্রায় প্রায় উত্ত্যক্ত করে। তাকে অনেকবার নিষেধ করেছি, সে কথা শোনে না। ঈদের দিন সকালে আমরা বাসায় না থাকায় সে সুযোগ বুঝে আমার মেয়ের উপর ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে সে আমাদের মারধর করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। রিমুর মা বলেন, মেয়েদের ওপর বখাটেদের হামলার ঘটনায় এলাকার অভিভাবকেরা এখন আতঙ্কিত। বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এত কঠোর শাস্তি হোক, যেন আর কারও প্রাণ না যায়, স্বপ্ন যেন ভেঙে না যায়। কথাবার্তা শেষে রিমু সবার কাছে দোয়া চেয়েছে। সে যাতে আগের মত হাটাচোলা করতে পারে। তার দরিদ্র বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করবে।এবিষয়ে আব্দুর রহিম ওরফে নাতুল সহ তার সহযোগীদের কারোও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার মা ও স্ত্রী মারপিটের ঘটনা শিকার করে বলেন, ধর্ষণের চেষ্টা করেননি, জমির বিষয় ছিল, ঈদের দিন সকালে রাস্তার বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মারপিট হয়েছে। এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় কিশোরীর ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন । মামলার তদন্ত চলছে , তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব ।