Thu. Mar 30th, 2023

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে সহ মা বাবাকে মারধর


উমৱ ফরুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:পঞ্চগড়ে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক নবম শ্রেণির স্কুল পরুয়া কিশোরী ( ১৭ ) ও তার মা বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক একজন  প্রভাবশালী বখাটের বিরুদ্ধে।  মঙ্গলবার ঈদের দিন ( ৩ মে ) সকাল সাড়ে দশটায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার ২ নং হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মারুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মা-মেয়ে তার বড় আব্বা ও বাবাকে দ্রুত গুরুতর অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক  সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত বখাটে  আব্দুর রহিম ওরফে নাতুল ( ৪০ ) ওই  গ্রামের মো:  তফিজুল ইসলামের ছেলে । এছাড়াও তার সহযোগী মো: শামসুল হকের ছেলে মো:  আলম ( ৩২ ) মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে ,  মোঃ নজরুল ইসলাম ( ৪৫ ) মো: মকতাল হোসেনের ছেলে, আজিজুর রহমান ( ৩৫ ) দবির উদ্দিনের ছেলে, তফিজুল দেবারু ( ৫৮ ) শামসুল হককের ছেলে ,আনোয়ার হোসেন ( ২৬ ) তফিজুল ইসলামের ছেলে  , মোঃ রুবেল ( ২৮ )  নজরুল  ইসলামের ছেলে , সেলিম ইসলাম ( ২২ )  সহিদুল ইসলামের ছেলে  , মো: ওলিউল্লাহ  (৩৮ ) এরা সবাই ২নং  হাবিজাবাদ ইউনিয়নের মারুপাড়া গ্রামের  স্থানীয় বাসিন্দা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রহিম ওরফে নাতুল,  দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করছিল।   মঙ্গলবার ঈদের দিন থাকায় সকালে ঈদের নামাজ পড়তে আমরা মাঠে গিয়েছিলাম।  মেয়েটিকে বাসার সামনে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে  তার মা বাসা থেকে বেরিয়ে আসে।  এবং তার বড় আব্বা ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় আসতেছে।  এসময় চিৎকারে তার বড় আব্বা  মোঃ কামাল উদ্দিন ছুটে-আসলে তার চোখের মধ্যে ঘুসি মারে ।  একপর্যায়ে চেচামেচিতে এলাকাবাসীসহ দুই পরিবারের লোকজন  জড়ো হন ।  রহিম এসময় বুদ্ধি খাটিয়ে মো:  ধামালের জমিনে লাগানো সুপারি গাছ  উঠিয়ে ফেলতে শুরু করে ।  এবং বলেন  ট্রাক্টর বা টলি চলাচলের জন্য আমাদের এক শতক জমি দিতে হবে ।  কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা  করছিল রহিম । এটা যাতে কেউ বুঝতে না পারে এর জন্য জের ধরে  বসেছে এক শতক জমি লাগবে ।  ধামাল এর লাগানো সুপারের গাছ  উঠিয়ে ফেলে বাঁশের বেড়া  ভেঙ্গে ফেলে রহিম ।  এসময় রহিমের পক্ষ নিয়ে দশ-বারোজন হাতে লাঠি,  সোটা, লোহার রড ধারালো সোরা, কোদাল নিয়ে হাজির ।  এবং কিছু না বুঝেই তফিজুল দেবারু হুকুমে পরিবারের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে বেআইনি ভাবে   কদাল  দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করতে থাকে ।  এসময় আব্দুর রহিম হাতে থাকা ধারালো কোদাল, আলমের হাতে থাকা ধারালো ছোরা ।  নজরুল ইসলাম , আজিজুর রহমান ও  আনোয়ার হোসেনেৱ হাতে থাকা লোহার রড ।  রুবেল ও অলি উল্লাহর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি  দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকে । এসময় কিশোরী মাটিতে পড়ে গেলে সেলিম ইসলাম কিশোরীর পরনের কাপড় চোপড় টেনে  ছিড়ে ফেলে। এবং স্থানীয়রা জানান মো: আজিজুর রহমান এ সময়  কিশোরীর বুকের উপর চড়ে বসে  তার দুই হাত দিয়ে সজোরে গলা চিপে ধরে এবং  শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে । এসময় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মা ও মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে  আব্দুর রহিম ও তার সহযোগীরা। এতে কিশোরীর মায়ের  বাম হাতের মধ্য আঙ্গুলে লেগে গুরুতর হারকাটা জখম হয় । এতে আঙ্গলের মধ্যে দুটি সেলাই করা হয়েছে।   কিশোরীর বাবা ধামাল এর মাথার মধ্যভাগে  সজোরে চোট মারলে প্রচুর রক্ত খনন হয় এবং গুরুতর হাড় কাটা জখম হয় ঘটনা স্থলে বেহুজ হয়  ।  যা মাথার মধ্যে ৫ টি সিলাই রয়েছে।  এবং কিশোরীর বড় আব্বা কামাল উদ্দিন কে  রহিমের সহযোগীর কবল থেকে প্রাণে বাঁচাতে আসলে, তাকে লোহার রড দিয়ে মুখ বরাবর হুল মারিলে,  চোখের নিচে লেগে কালশিরা ফুলা জখম হয় ।  এসময়  ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন  দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে  ভর্তি করেন । এ বিষয়ে কিশোরীর  বাবা বলেন,   নাতুল আমার মেয়েকে  প্রায় প্রায় উত্ত্যক্ত করে। তাকে অনেকবার নিষেধ করেছি, সে কথা শোনে না।   ঈদের দিন সকালে আমরা বাসায় না থাকায়   সে সুযোগ বুঝে আমার মেয়ের উপর ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে সে আমাদের মারধর করে।  আমি এ ঘটনার বিচার চাই। এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ওসি  আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, এ বিষয়ে  পঞ্চগড় সদর থানায় কিশোরীর ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন । মামলার তদন্ত চলছে , তদন্ত সাপেক্ষে  তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব । 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আজির উদ্দিন (সেলিম)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মোছাঃ হেপি বেগম ।I বার্তা সম্পাদক: মোঃ ছাদিকুর রহমান (তানভীর)
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়:২/২৫ ইষ্টার্ন প্লাজা,৩য়-তলা ,আম্বরখানা,সিলেট-৩১০০।
+8801712-783194
dailyhumanrightsnews24@gmail.com