দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর ইফতার মাওফিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ” মোঃ শামীম জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী।

দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ইফতার মাহফিলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে।৩০শে রমজান দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর ইফতার মাহফিল বিকেল ৩টার দিকে বেগম আরেফাতুন নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মঠে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এমতাবস্থায় উক্ত অনুষ্ঠানস্থলে বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাসির পালোয়ান উপস্থিত হন। এরপর বিকেল ৫টার দিকে দশমিনা দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব ইকবাল মাহমুদ লিটন তার নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। লিটন সাহেবের লোকজন অনুষ্ঠানের মাইক্রোফোন নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করেন। স্লোগান শেষ হলে উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম মাইকে সকল জনসাধারণের উদ্দেশ্য করে বলেন আপনারা ৪ নম্বর সারির চেয়ারে বসবেন।
১,২,৩ নম্বর সারি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের পদবি প্রাপ্ত নেতাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উক্ত ঘোষণার পর লিটন সাহেব মাইক্রোফোন নিয়ে তার কর্মী সমর্থকদের কে ২য় সারি থেকে বসতে বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা সেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি আল আমিন মুন্সী। তার ধারাবাহিকতায় আল আমিন মুন্সী লিটন সাহেব সহ সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিতে থাকেন। উক্ত পরিচয় পর্ব লিটন সাহেব সহ তার কর্মী সমর্থকদের পছন্দ না হওয়ায় তার সমর্থকদের মধ্যে থেকে একজন বলে উঠলো এ ব্যাডা আলামিন তুই কোন বালের পরিচয় করিয়ে দেও। তোর পরিচয় হয় না। তোমাকে মাইক দেছে কোন হালায়। এভাবে করে গালাগালি করে।
সাথে সাথে লিটন সাহেব বললো ঠিক করে পরিচয় করাও।এই ফাকে উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বের থাকা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসির পালোয়ান আলামিন মুন্সীর কাছ থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে বললেন আপনারা থামেন পরিচয় পর্ব আরও সুন্দর হবে ভুল ত্রুটি আর হবে না। এই কথা বলার সাথে সাথে লিটন সাহেব বলে উঠলেন পরিচিত পর্ব আরও সুন্দর করো বললাম পিছনে যে ভুল করছো সামনে আর করার সাহস কইরোনা। এই কথা বলার সাথে সাথে লিটন সাহেবের কর্মী সমর্থকেরা আলামিন মুন্সীকে মারধর শুরু করে এবং আনাসি পালোয়ানের কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেরে নেয়ার চেষ্টা করে। পিছনে লিটন সাহেবের বাকি যে কর্মী সমর্থক ছিলো তারা চেয়ার ভাঙতে শুরু করে। এবং নাসির পালোয়ানের সাথে থাকা নেতা কর্মীদের মারধর করে। দুই পক্ষে চেয়ার দিয়ে প্রচুর মারামারি হয়। তবে ভাইয়া বাহিনীর তৃতীয় শ্রেণীর সদস্য হৃদয় টিনের চালের একটা ডাবচেরা নিয়ে এসে আলামিন মুন্সীকে বারি মারে। মারামারির প্রথম পর্ব লিটন সাহেবের লেট হস্তক্ষেপে মুলতবি হয়।
উক্ত মারামারির খবর ছড়িয়ে পড়লে গৌতম বাবুর নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা ছাড়াই চেয়ার দিয়ে ২য় পর্ব শুরু হয়। তিনি গেট দিয়ে ঢুকেই বললেন ধর ওগরে পিডা। আবার শুরু হয় প্রচুর মারামারি। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে ২য় ধাপের মারামারি মুলতবি করা হয়।
এরপরে উক্ত ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এস এম শাহজাদা এমপি মহোদয় আসয়ার পড়ে-ই ধাক্কা ধাক্কি শুরু থেকে ৩য় ধাপের মারামারি শুরু হয়। এমপি মহোদয়ের সামনে থেকে লোকজন টেনে নিয়ে মারছেন লিটন সাহেবের কর্মী সমর্থকেরা। এই মারামারির মধ্যে পরে অনেক মহিলা নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এরপর উপস্থিত হয় দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দশমিনা উপজেলা পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল আজিজ মিয়া। অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয়েই বললেন মিলাদ পড়ে মোনাজাত দাও। এরপর মিলাদ পড়ে মোনাজাত দিলো।লিটন সাহেবের কর্মী সমর্থকেরা জন প্রতি ৮/১০ টা করে ইফতারের প্যাকেট নিয়ে গেলো।
মারামারির এবং ইজ্জতের ভয়ে জনগণ সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী চলে গেছে। সেখানে উপস্থিত ছিলো লিটন সাহেবের কর্মী সমর্থকেরা।পরিশেষে বলতে হয় দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগে রাজনীতির কোনো নাম গন্ধ ও নেই। বর্তমানে এটা এখন সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম চলছে।