মনপুরার বিতর্কিত নারীর খপ্পরে স্বরূপকাঠির ব্যাবসায়ী আসলাম
পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি
” নারী মা ও বোন জাতি হলেও নারীর রূপকে পুঁজি করে” মনপুরা সহ বরিশাল বিভাগের বহু পুরুষের কুপোকাত করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে মনপুরা উপজেলার মৃত আঃ হকের মেয়ে নাজমার(২৩) বিরুদ্ধে। । মনপুরার স্থানীয় ও ব্যাবসায়ী আসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ভোলা জেলার মধ্যে মনপুরা উপজেলার বাসিন্দা নাজমা।কিশোরী বয়স থেকেই রূপকে পুঁজি করে বেপরোয়া হয়ে উঠে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় নাজমার।এদিকে স্বরূপকাঠির ফার্নিচার ব্যাবসায়ী মোঃ আসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে মনপুরায় সরেজমিনে যাওয়া গণ মাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে সঠিক তথ্য উদঘাটন করার মিশনে সফলতা আনার চেষ্টা করেন জেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা। স্থানীয় মনপুরা বাসীদের মাধ্যমে অনেক অজানা তথ্য তথ্য উদঘাটন করেন। মনপুরার স্থানীয় টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়ার গন মাধ্যম কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সঠিক তথ্য তুলে ধরেন সুপ্রিয় পাঠকদের জন্য। স্বরূপকাঠি উপজেলার বাসিন্দা মোঃ আসলাম একজন ফার্নিচার ব্যাবসায়ী। ব্যাবসার সুবাদে আকর্ষিক পরিচয় হয় মনপুরার প্রধান সড়ক হাজিরহাট বাজারের ফার্নিচার দোকানে। আর সেই কারণে সুন্দরী নাজমার চলন বলনে দারুণ মুগ্ধ হয় আসলাম। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে কুপোকাত করার মিশনে নেমেছিল।। কুট কৌশলী নাজমার রুপের আগুনে ছারখার হওয়ার উপক্রম হওয়ার শেষ পর্যায়ে। নাজমা রুপের ঝলকানির আলোর রশ্মিতে এক পর্যায়ে কাবু আসলাম। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিবাহিত নাজমা ছলনা করে কোর্ট কাবিন করে বিয়ে করে ২ লক্ষ টাকায়। এদিকে নাজমার কূটকৌশলী শয়তানী চালে এক পর্যায়ে নিঃস্ব হওয়ার উপক্রম আসলাম । স্থানীয় মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বদৌলতে সেই সময়ে রক্ষা পায় আসসাম। সামাজিক ভাবে আন্তরিকতা মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নাজমাকে ডিভোর্স দেওয়া হয় তৎকালীন সময়ে । এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলায় বিশিষ্ট গণ্য মান্য লোকজনের সমন্বয়ে ঝামেলা মুক্ত হয় আসলাম। তবে মেয়ের সাথে পরিচয়ের পর থেকেই সে বিবাহিত তা একবারও মনের ভুলেও বলেনি নাজমা । পাশাপাশি আসলামও বিবাহিত তাও বলেনি নাজমার কাছে। অথচ মনপুরার নাজমা হাজিরহাট বাজার থেকে শুরু করে সমগ্র এলাকায় পরীমনি হিসেবে ডাকে। রূপের মূর্ছনায় পুরো যুবসমাজের বেশির ভাগ লোকজন হাতের কব্জায় টেনে নিতে সক্ষম হয়েছে ইতিমধ্যে। আসলামের মত বহু ছেলেদের সাথে সাথে বিয়ে নাটক সহ ডিভোর্সের মত ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার নাজমা আক্তার আয়েশার কাছে। স্থানীয় সূত্র জানায় নাজমার প্রথম বিয়ে হয় বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। প্রথম সংসারে দুটি সন্তানও আছে। কিন্তু বিগত সময়ে নাজমার গ্রামের ছেলে ২নং ওয়ার্ডের ইসমাইল মাঝির ছেলে মিজানের সাথে বিয়ে বিয়ে খেলা করে বিতর্কিত নাজমা। বর্তমানে টাকা ফাঁসানোর মতলব নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন নাজমা। বর্তমানে মিজান পলাতক রয়েছে বলে মিজাননের পরিবার সরে জমিনে যাওয়া গন মাধ্যম কর্মীদের বলেন।মনপুরার ইসমাইল মাঝি গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের ইউনিয়নের মধ্যে এত বাজে মেয়ে আছে কিনা তাহা সন্দেহ আছে। স্বরূপকাঠির আসলাম নিজের ভুল বুঝতে পেরে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিগত সময়ে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ দিয়ে চরম শিক্ষা হয়। কিন্তু সর্বশেষ ছলনাময়ি নাজমা আবারও গভীর ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে কঠিন নাটক করে স্বরূপকাঠির ফার্নিচার ব্যাবসায়ীর সাথে। নাজমার গ্রুপ বাহিনী দিয়ে আসলামকে ডেকে নিয়ে জোর করে এবার ৮ লক্ষ টাকা ভূয়া কাবিন নামা করে অর্থের টানে। প্রথম ২ লক্ষ টাকা অতি সহজে পাওয়ার পর পরই আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে বহু বিবাহের খল নায়িকা মনপুরা উপজেলার বিতর্কিত নাজমা। এদিকে সরেজমিনে যাওয়া গণ মাধ্যম কর্মীদের টিম বহু অজানা তথ্য উদঘাটন করে। হাজিরহাট বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গণ মাধ্যম কর্মী দের বলেন, আসলেই আমাদের এলাকায় চরম বিতর্কিত মেয়ে নাজমা। ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও অকপটে স্বীকারও করেন নাজমার বিষয়ে। আসলেই রূপকে পুঁজি করে বিভিন্ন সময়ে অবিবাহিত যুব সমাজ সহ বহু বিবাহিত ছেলেদের সাথে কৌশলে বেলাল্লাপনা করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। সর্বশেষ আবারও প্রতারণার স্বীকার হয় সেই আসলাম।এ ব্যাপারে নাজমার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। মিডিয়ার কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি। স্বরূপকাঠি উপজেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ মনপুরা উপজেলার সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, প্রশাসনের মাধ্যমে নাজমাকে থামানো দরকার। নইলে আসলামের মত বোরহানউদ্দিনের বর্তমান স্বামী সহ হাজিরহাটের মিজান, দাশের হাটের রমজান, ভোলার নেয়ামতের মত ছেলেরা মিথ্যা মামলার শেষ হয়ে যাবে। সময় এসেছে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে উপযুক্ত শাস্তি হোক মনপুরার নাজমার মত প্রতারক মেয়ের। নিজ স্বামী রেখে পরপুরুষ সহ বিয়ে বিয়ে খেলা বন্ধ হোক। প্রশাসন সহ সকল গন মাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসা উচিত। প্রকৃত অপরাধী নিপাত যাক।