পঞ্চগড়ে কবরস্থানের দানের জমি, প্রভাবশালী আট পরিবারের ভোগ দখলে

উমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় কবর স্থানের দানের জমি প্রায় ২৩ বছর ধরে কৌশলে ৪.২০ শতক জমি ভোগদখল করে খাচ্ছেন ৮ পরিবার। বোদা উপজেলার ৪ নং কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের রাধাবল্লব মজার ৮৬ নং এস এ খতিয়ানের ৯৭০ নং দাগের ৪. ২০ শতক জমি ঐ এলাকার মুসলমান ব্যক্তিদের জন্য কবর স্থান হিসেবে বরাদ্দ থাকলেও । কবর স্থানের জন্য ব্যবহার না হলেও বউ বাচ্চাকে নিয়ে সুখেই সংসার করে, বসত ভিটা আর চাষাবাদ করে খাচ্ছেন ১। আব্দুল মমিন, ২। নায়েব আলী ৩। আমিন আব্দুর রহমান ৪। লুৎফর ৫। গনি মুন্সি ৬। সোনামিয়া ৭ চানমিয়া ৮। মো: শহিদুল সহ এই ৮ জনের পরিবার । এদের নামে গণ অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এদের মধ্যে সমাজ সেবক মোঃ আব্দুল কাদের, ইউনিয়নের,ইউপি সদস্য মোঃ শরিফ উদ্দিন, মহিলা ইউপি সদস্য মোছা : লালবানু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মোবারক আলী, খাদেমুল ইসলাম, আমির উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, লুৎফর রহমান, মো: মিজানুর রহমান সহ শত মানুষ। তারা জানান বোদা উপজেলার ৪ নং কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের আগুন তলা গ্রামের এই আট ব্যক্তি রাধাবল্লব মজার ৮৬ নং এস এ খতিয়ানের ৯৭০ নং দাগের ৪.২০ শতক জমি ইতোপূর্বে কবর স্থানের জন্য দান করে দেন প্রফুল্ল বালা দেবী নামের এক নারী। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী স্বার্থলোভী লোক অবৈধভাবে কবরস্থানের জমি তারা দখল করে চাষাবাদ করে খাচ্ছেন। এতে সামান ডাঙ্গা, দীগল গ্রাম, সরকারপাড়া, আগুন তলা, কুচিয়ামোড় গ্রামের মুসলিম ধর্মের ব্যক্তিদের দাফন কাজের ব্যাঘাত ঘটতেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি কবরস্থানের জমি যাতে কবরস্থানেৱ জন্য আমরা ব্যবহার করতে পারি । এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে দেখা যায়, এই আট ব্যক্তি জমিগুলোতে ফসল ফলাতে যেন ব্যস্ত সময় পার করছেন । কেউ দিচ্ছেন পাকা বাড়ি, কেউবা কাঁচা বাড়ি , কেউবা রাজপাসাতেৱ মত সাতপিটা বিল্ডিং তৈরিতে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছেন । এ বিষয়ে জমি ভোগকারীদেড় দুই একজনের সাথে কথা বললে তারা জানান , আমরা ইতিপূর্বে জমিগুলো বিঘা প্রতি দশ বারো হাজার টাকা দরে কিনে নিয়েছিলাম । এ বিষয়ে ডুকুমেন্ট দেখতে চাইলে তারা আমাদের ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প এর দলিল দেখায় । এলাকাবাসী আরও জানান প্রফুল্ল বালা দেবীর কোন বংশ আদি নেই তাহলেই জমিগুলো কে ওদের কাছে বিক্রি করল। এটা সম্পূর্ণটায় ভুয়া এবং জাল দলিল তৈরি করে এই জমিগুলো ভোগ করে খাচ্ছেন যুগ যুগ ধরে । এ বিষয়ে পরিষ্কার যে তদন্ত করে দেখা যায় প্রফুল্ল বালা দেবী তার বংশ আদি না থাকায় কিছু জমি মন্দিরে এবং ৪.২০ শতক জমি
কবরস্থানের জন্য দান করেন । যা এস এ খতিয়ানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা আছে । মন্দিরের জমি মন্দির ভোগ করতে পারলেও কবরস্থানের এই দানের জমি গুলো কৌশলে ভোগ করছেন এই ৮ পরিবার।