পঞ্চগড়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মারধর করে জমি দখলের অভিযোগ

উমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , জমি জবরদখলে নিতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা বদেশ্বরী যুগীর দুয়ার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের স্ত্রী মোছা : তারা বানু, মেয়ে মোছা: অমিছা বেগম ( ৪০) তার জামাই মো: জবেদ আলী ( ৫০ ) এর উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। আরাজী মারেয়া সরকার পাড়া গ্রামের, ইদ্রিস আলীর ছেলে, সোহেল ইসলাম ( ৩০ ) একই গ্রামের মোঃ আব্দুল ওহাবের ছেলে, মোঃ শরিফুল ইসলাম ( ৩০ ) মৃত নূর মুন্সির ছেলে, মো: কাফি ইসলাম ( ৪৮ ) মো: আব্দুল ওহাব ( ৫০ ) এবং মৃত আ: সামাদের ছেলে, মো: ইদ্রিস আলী ( ৬০ ) সহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪/৬ জনের হামলায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের স্ত্রী,
তারা বানু, মেয়ে মোছা: অমিছা বেগম জামাই মো: জবেদ আলীসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় বোদা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল । হামলাকারীরা জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে এসে হাতে লাঠি লোহার রড ধারালো ছোরা লোহার কুড়াল, দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি জনতা দল বেঁধে জমিতে প্রবেশ করলে, বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে ফেলে এতে প্রায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয় । এঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বোদা থানায় একটি মামলা করেন আব্দুর রহমান, যার মামলা নম্বর ১৩ । এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান জানান, পঞ্চগড়ের বোদা থানার মৌজা- ভিতরগড় বদেশ্বরী, জি এল নং – ৮৪ খতিয়ান নং – ৬৮ ( এসএ), দাগ নং, ৫১৬ নং দাগের ১৬ শতক জমির মালিক ক্রয় সূত্রে আমি । দীর্ঘদিন ধরে এই জমির উপরে আমি বাড়ি তৈরি করে আসি । কিছুদিন ধরে একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে সোহেল ইসলাম ও আব্দুল ওয়াব এর ছেলে, শরিফুল ইসলাম সহ আরো কয়েকজন মিলে, ইতিপূর্বে আমাদের এই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করলে । জমি রক্ষায় আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে । অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, হামলাকারীদের এলোপাথারি পিটুনিতে অমিসা বেগমকে ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মধ্যভাগে সজোরে চোট মারলে, ডান হাত দ্বারা প্রতিহত করেন এতে ডানহাত গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে প্রচন্ড রক্তপাত হতে থাকে এবং জোবেদ আলীকে লোহার রড দারা এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আহত হয় । অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অমিছা বেগমের হাতে চোট লাগার কারণে মাটিতে পড়ে গেলে অমিছা বেগমের বুকের উপরে চড়ে বসে, সজোরে গলা চেপে ধরে এবং শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। এ সময় অমিছা বেগমকে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে দুই পায়ে এলোপাতাড়িভাবে মারলে ফলে দুটি পায়ের হাড় ভেঙে যায়। সে বর্তমানে পায়ের উপর ভর দিয়ে হাঁটাচলা করতে পারছেন না সে সময় ৪ নং আসামী অমিছার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের গলার স্বর্ণের চেন ও ৮ আনা ওজনের কানের স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেন। যার বতর্মানে বাজারমূল্য ৬৫ হাজার টাকা।এসময় জবেদ আলি দেখতে পেরে, দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ নং আসামী কে অমিসা বেগমের বুকের উপর হতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এবং তাকে প্রাণে রক্ষা করেন । পরে অমিছা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে মতিয়ার রহমানের ব্যাটারি চালিত অটো করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রথমে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা প্রদান করেন । এ বিষয়ে বোদা থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী জানান , বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান থানায় এসে একটি মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নে