জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফৌজি হাসান খান রিকু,
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নীতির প্রশ্নে আপোসহীন দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক,মুদ্রাকর ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের আজ (২২ মার্চ মঙ্গলবার) প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ১৯৫১ সালের ২৯ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার উত্তর মেদিনীমণ্ডল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাঁন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ২০২১ সালের ২২ মার্চ না ফেরার দেশে চলে যান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ২ নম্বর সেক্টরে শ্রীনগর থানা কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। নির্মাণ, আবাসন, কৃষি, প্রযুক্তি, ঔষধ, ক্যাবল, মেটাল কমপ্লেক্স, প্রকাশনাসহ গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন ।তাঁর অন্যতম প্রকাশনা ‘সেই রাজাকার’। তিনি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গত শুক্রবার লৌহজং উপজেলার উত্তর মেদিনীমণ্ডল নিজ গ্রামের বাড়িতে রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া আজ মঙ্গলবার ঢাকার জনকণ্ঠ ভবনসহ,গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের সকল প্রতিষ্ঠান,মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
নব্বই দশকের গোড়ার দিকে আতিকউল্লাহ খান মাসুদের সম্পাদনা-প্রকাশনায় দৈনিক জনকণ্ঠ সারাদেশে আলোড়ন তোলে। সাধারণ সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি আপোষহীন জাতীয় দৈনিকটি হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের ধারক,বাহক ও মুখপত্র। সাহসী উচ্চারণ ও সত্য প্রচারে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি তাঁকে দমন করতে চেয়েছে। এমনকি স্বাধীনতা বৈরী সরকারও তাঁকে হয়রানি করেছে। কিন্তু একাত্তরের সম্মুখ সমরের যোদ্ধা বলে কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাননি তিনি। দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে লড়াই করেছেন আমৃত্যু। জাতি মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদকে স্মরণ করবে শ্রদ্ধার সঙ্গে। #