বানারীপাড়ায় শ্রমিক কল্যান সমবায় সমিতির মালিকের সাথে কর্মীর অবৈধ সম্পর্ক, নারী কর্মীর দাবী গর্ভে মালিক কামরুলের বাচ্চা।

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশালের বানারীপাড়ায় শ্রমিক কল্যান সমবায় সমিতির ‘সত্ত্বাধিকারী কামরুল হাসান জাহিদের বিরুদ্ধে তারই নারী কর্মীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে গর্ভে বাচ্চা আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক ও সমঝোতার চেষ্টা চলছে। বানারীপাড়া বন্দর বাজারের নাজির পুর রোডে অবস্থিত শ্রমিক কল্যান ঝৃনদান সমবায় সমিতির মালিক কামরুল হাসান জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধর নিয়ে ঝৃনদান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনা চক্রে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ঘটে তারই অফিসে নিয়োজিত নারী কর্মির সাথে। সম্পর্ক শারিরীক সম্পর্কে রুপ নেয়। অভিযোগে তারই অফিসের এক কর্মী আলো রানী জানায় তার কাছে ঐ নারী কর্মী বলেন মালিক কামরুল ও তার মধ্যে সম্পর্কের জেরে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন। অন্যদিকে কামরুলের কাছ থেকে জানা যায় কামরুল অসুস্থ থাকাকালীন ৫/৬ লাখ টাকা ঐ নারী কর্মী আত্মসাৎ করে। সেই টাকা থেকে ১ লাখ টাকা ফেরত দেয় এবং বাকী টাকার সিকিউরিটি হিসেবে নারী কর্মীর নামীয় ২ টি ব্লাংক চেক কামরুল হাসানের কাছে জমা থাকে। সেই টাকা না দিতে সে এই অবৈধ সম্পর্কের নাটক সাজায়। এদিকে কামরুল তার অবৈধ বাচ্চা নষ্টের জন্য মধ্যস্থ্যকারী হিসেবে তারই অফিসের আর এক কর্মী আলো রানীকে নিয়েজিত করে। আর নাহারের ব্লাংক চেক অন্য সমিতির মালিক জাকির ঢালী ও তার স্ট্যাফদের জিম্মায় রাখা হয় এই শর্তে যে নাহার স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে গিয়ে এবোশন করবে বিনিময়ে ঐ চেক ফেরত পাবে যার সত্ত্বতা স্বিকার করে ঐ চার ব্যক্তি যাদের কাছে স্ট্যম্প ছিল। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার দিন নাহার শারিরীক অসুস্থ হলে ফোন করে আলো রানীতে আসতে বলে স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে যাবার জন্য উদ্দেশ্যে এবোশন করানো। রফাদফায় বনিবনা না হওয়ায় এবং কোন অদৃশ্য চাপে নাহার তার বক্তব্য পাল্টে দিয়ে কামরুলে বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভুল করে করেছে বলে অনুশোচনা করে। কিন্তু একজন নারী তার সর্বোচ্চ সন্মান ইজ্জত, সেই ইজ্জতের নামে কখন কোন নারী কি মিথ্যা বলতে পারে, নাকি অসহায় ঐ কর্মী বড় কোন চাপে বর্তমানে মিথ্যা বলে কামরুলকে বাচিয়ে দিচ্ছে এটা ও ভাবার বিষয়। তবে ঘটনা যাই হোক একজন নারীর সন্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। সমবায় সমিতির আড়ালে অনেক লম্পট মালিক কর্মীদের ভোগের সামগ্রী বানাচ্ছে। অনেকে স্বেচ্ছায় কিংবা অনেকটা বাধ্য হয়ে ঐ সকল লম্পটের সাথে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। কামরুলকে মুঠোয় পুরে ফোন দিলে সে বলেন যেসব ঘটনা আমার বিরুদ্ধে রটিয়ে শেষে গুলো মিথ্যা ভিত্তিহীন এই ধরনের কর্মকাণ্ড সাথে আমি জড়িত নাই। কিছু কুচক্র মহল আমাকে মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য পাঁয়তারা করছেন। আর আপনারা যদি আমার নারী কেলেঙ্কারি সত্যতা পেয়ে থাকে তাহলে নিউজ করতে পারেন সে বিষয়ে আমার কোনো বলার ও নেই। প্রশ্ন উঠেছে বানারীপাড়া এলাকাবাসীর এই ধরনের একের পর পরে অবৈধ সমবায় সমিতি ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠার কর্মীদের সাথে বিভিন্ন ধরনের যৌন হয়রানি বিভিন্ন ধরনের যৌন হয়রানি ও ইভটিজিং সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম যদি প্রতিবাদ না হয় একের পর এক অপকর্ম বেড়ে চলছে তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বিষয়টি দেখার জন্য।