কয়রা।কয়রায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

কয়রা সংবাদদাতা মোক্তার হোসেন। কয়রা সদর ইউনিয়নে৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কয়রা সুন্দর বনের নিকটবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এখানকার আদিবাসীরা আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করে আসছে। চারিদিকে নদী। দূর্বল বেড়ীবাঁধ। টেকসই বাঁধ না থাকায় জোয়ারে পানি বেড়ীবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।
ঘূর্ণিঝড় আয়েলার পর থেকে টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ হয়নি বলে এলাকাবাসী জানান। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার আশঙ্কায় এলাকাবাসী হতাশ হয়ে পড়েছেন।বিশেষ ঝুঁকি পূর্ণ ইউনিয়ন গুলো হলো,দশহালি,মহেশ্বরীপুরের শেখের টেক,৪ নম্বর কয়রা,৬ নম্বর কয়রা,নয়ানি, কালিবাড়ি।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় কয়রা উপজেলা প্রশাসন বলেছেন,তারা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।শারীরিক নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে সাহায্য করা হয়েছে।খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং করা হয়েছে বলে জানান।উপজেলা দুর্ভোগ ব্যবসতাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, তার প্রশাসনিক দপ্তর থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় ১১৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে কাজে লাগানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিগত আইলায় এই কয়রায় আমফানের আঘাতে গাছ পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেড়ীবাঁধ ভেঙে সম্পূর্ণ উপজেলাটি প্লাবিত হয়েছিল।