দক্ষিণ সুনামগঞ্জে জামিন পেয়ে বাদীর পরিবারকে মারধর

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে সিতারা হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদী সহ তার পরিবারকে খুপিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে। আহতদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য আতাউর রহমান (৫২) তার স্ত্রী সুরুজ মালা বেগম (৪৩)কে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২ টায় উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আতাউর রহমান বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং- ০৫।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩/৬/২০২০ ইং তারিখে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই বাড়ির শাহ আলম, আব্দুস ছত্তার, জলাল মিয়া, নিদান মিয়া, চমক আলী, শাহাব উদ্দীন, আসাব উদ্দীন, কাওছার আহমদ, মন্দান মিয়া, অলি মিয়া, আয়াছ মিয়া, সুজাত মিয়া, সোহাগ মিয়া, কাহার মিয়া গংরা আতাউর রহমানের বসত ঘরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুপিয়ে সিতারা বেগমকে হত্যা করে। মামলা নং-১৬ তারিখ ২৬.৬.২০২০ ইং। আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি এসে বাদী আতাউর রহমান সহ তার পরিবারের লোকজনকে খুপিয়ে রক্তাক্ত ও জখমপ্রাপ্ত করেছে।
বাদী আতাউর রহমান জানান, প্রায় ৮ বছর ধরে আমি পাথারিয়া গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। একটি দিনও শান্তিতে থাকতে পারিনি। আমার শ^াশুড়ি সিতারা বেগমকে প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছে। মামলার জের ধরে আমার পরিবারকেও হত্যার চেষ্টা করেছে। আমি ও আমার স্ত্রী সিলেট হাসপাতালে ভর্তি আছি। ওদের ভয়ে বসত বাড়ি ফেলে বর্তমানে আমার পরিবারের লোকজনকে গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে এসেছি।
শাহ আলম জানান, শুক্রবার দুপুরে আমার ছেলে আয়াছ আলী বাদীর উঠান দিয়ে যাওয়ার সময় হাত লেগে আতাউর রহমানের জামা মাটিতে পড়ে কাদা লেগে যায়। পরে আতাউর রহমান আমার ছেলেকে গালিগালাজ করলে এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কাজি মোক্তাদির আলী জানান, আতাউর রহমানের মামলা এফআইআর করা হয়েছে। গ্রেফতারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।##