সরকারী বিধি না মেনে আমখোলা ইউনিয়নে ব্র্যাক এনজিওর কিস্তির আদায়”

জেলা প্রতিনিধি :-মো:শামীম আহমেদ পটুয়াখালী জেলা।
সরকারী বিধি না মেনে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের এনজিওর কিস্তির আদায়
সারাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রামন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারী সিদ্ধান্তমতে সারাদেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাইন ঘোষনা করে সরকারী বেসরকারী সকল অফিস সাধারন ছুটি ঘোষনা করেন। ঠিক সেই মূহুর্তে সরকারী বিধি নিষেধ অপেক্ষা করে আমখোলা ইউনিয়নের ব্র্যাক এনজিও ব্যাংকের কর্মিরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে কিস্তি আদায় করছেন। এদিকে লকডাইনে বন্ধ থাকা নিন্মো আয়ের মানুষেরা কিস্তির টাকা দিতে পারছেনা। না পারলেও হতে হচ্ছে অপমান লাঞ্চনা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায়, গলাচিপা উপজেলায়ার ব্রাক, আশা, কোডেক, গ্রামীন ব্যাংক সহ একাধিক এনজিও এই উপজেলা ক্ষুদ্র লোনের কাজ করছে। নিন্মো আয়ের মানুষেরা এসব প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে ছোট খাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ সহ মাসিক বা সপ্তাহিক ভাবে কিস্তি পরিশোধ করে থাকেন। করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) সারাদেশে মহামারী দেখা দিলে সরকার সারাদেশে সাধারন ছুটি ঘোষনা করে কঠোর লকডাইন ঘোষনা করেন। এই কঠোর লকডাইনে মধ্য বিত্ত সহ নিম্ম বিত্ত আয়ের মানুষেরা রোজগার করতে না পেরে বাসা বাড়ীতে বসে আছে। তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ চলছে কষ্টের মধ্যে। সকল এনজিও কিস্তি আদায় বন্ধ থাকলেও থেমে নেই ব্র্যাক কর্মিরা সকাল হলেই বাড়ী বাড়ী গিয়ে চাপ প্রয়োগ করে কিস্তির টাকা আদায় করছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ব্র্যাক এনজিও একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, এই কঠোর লকডাউনে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে অতি কষ্টের মধ্যে চলতে হচ্ছে তার উপর ব্র্যাক এনজিও কিস্তির চাপ। এব্যাপারে আমখোলা ইউনিয়নের ব্র্যাক ব্যাংকের এনজিও এরিয়া কর্মকর্তা সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি কিস্তি আদায়ের কথা এরিয়ে গিয়ে বলেন, আমার কোন মাঠ কর্মি কিস্তি আদায়ের জন্য কোথাও যেতে পারবে না তবে অতি উৎসাহি কিছু কর্মি যেতে পারে তবে এর জন্য অফিস দায় দায়িত্ব নিবেনা। নাম প্রকাশে অনি”ছুক কয়েকজন মাঠ কর্মির সাথে কথা বলে তারা বলেন, কি আর বলি আমাদের উদ্ধর্তৃন কর্মকর্তার নির্দেশে আমাদের কিস্তি আদায় করতে হচ্ছে। এদিকে একে অপরকে দোষারোপ করে চলছে তবে কিস্তি আদায় বন্ধ নেই।