স্বরূপকাঠীতে ঘুষের টাকা ফেরৎ নিয়ে অমিমাংসিত শালিস বৈঠক

স্বরূপকাঠী প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীর বড়ইবাড়ি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের ঘুষের টাকা ফেরৎ নিয়ে শালিস বৈঠক হয়েছে।
নিয়োগ প্রার্থী আদনান অভিযোগ করেন, উপজেলার মিয়ারহাট বাজারের জনৈক ফিরোজ মিয়ার দোকানে বসে তার চাকরির জন্য কবির হোসেনকে খামে করে ৭০ (সত্তর) হাজার টাকা ঘুষ বাবদ দেয়া হয় এবং উপজেলা সদরে এক আওয়ামীলীগ নেতার মাধ্যমে টিপিও’র পক্ষে ফারুককে দুই লক্ষ টাকা দেয়া হয় যা চাকরি না হওয়ায় টিপিও সেই টাকা ফেরত দেন। কিন্তু কবির হোসেন ফেরৎ দিতে এমনকি টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করায় বাধে জটিলতা। এনিয়ে দৈহারী ইউনিয়নের চিলতলা বাজারে বসে শালিস বৈঠক। বৈঠকে দৈহারী ইউনিয়নের দুই সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন ও দুলালসহ ফিরোজ হোসেন উপস্থিত থেকে মুঠোফোনে অভিযোগ শুনে প্রধান শিক্ষক কবির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহায়ক পদের ওই নিয়োগে স্থাণীয় প্রভাবশালীদের সুপারীশের ছড়াছড়ি থাকায় প্রধান শিক্ষক কোন প্রার্থীর থেকে টাকা নেয় নি বলে দাবী কবির হোসেনের। তবে, তাকে খামে করে জোর পূর্বক টাকা দিয়েছিল যা আদনানের বড় ভাই মহব্বতকে ফেরৎ দেয় সে। কবির জানায়, মহব্বত যদি বলে আমি টাকা নিয়েছি তাহলে ৪গুন টাকা ফেরৎ দেব।
এব্যাপারে প্রার্থী আদনানের বড় ভাই মহব্বত হোসেন জানান, আমি ও আমার ছোট ভাই আদনানের সামনে বাজারের(মিয়ারহাট) ফিরোজ মিয়ার দোকানে বসে কবির মাস্টার চাকরি দেবার কথা বলে সত্তর হাজার টাকা নেয় কিন্তু অন্য লোককে চাকরি দিয়ে আজ প্রায় একমাস ধরে আমাদের টাকা ফেরৎ দেয় নি।
এব্যাপারে পিরোজপুর জেলা পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট জাকারিয়া খান স্বপন জানান, কবির হোসেন আমার ভাতিজা আদনানের চাকরির জন্য সত্তর হাজার টাকা নেয় যা এখন সে ফেরৎ তো দিচ্ছেই না বরং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে অস্বীকার করছে তাই আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।