ফকিরহাটে ধর্ষকের সাথে ধর্ষিত শিশুর বিবাহ দিলেন চেয়্যারম্যান।
বাগেরহাট রামপাল উপজেলা প্রতিনিধি :ইমরানুর রহমান।
ফকিরহাটে নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মহাসিন এর বিরুদ্ধে ধর্ষনের শালিশ করে ধর্ষকের সাথে শিশু ধর্ষিতার বাল্য বিবাহ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ আগে মৌভোগ গ্রামের সৈয়দ কাজীর ছেলে সহিদ (২২) ও একই এলাকার পিতৃহীন এতিম ১৩ বছরের এক কন্যা শিশুকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।জানা যায়, কন্যা শিশুর মা অন্যের বাড়ি কাজ করে সংসার চালায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লম্পট একই এলাকার সৈয়দ কাজীর ছেলে মো: সহিদ (২২) ঐ কন্যা শিশুকে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কন্যা শিশুর মা জানতে পেরে থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করলে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মহাসিন তাদের-কে মারপিট ও উল্টা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখিয়ে মেয়ের মা কে জোর পূর্বক রাজী করে ধর্ষণকারীর সাথে বিবাহ দিয়ে দেন।এদিকে ধর্ষক সহিদ এর পূর্বেও একটা বিবাহ রয়েছে বলে জানা যায়। একদিকে যেমন ধর্ষকের শালিস করেছেন, তেমন অন্যদিকে দিয়েছেন বাল্য বিবাহ। একসাথে দুই অপরাধ করেও ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মহসীন বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান কাজী মহসীন এর কাছে ধর্ষণের শালিশ কিভাবে করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ওসি, ইউএনও এর সাথে কথা বলে বিবাহ দিয়েছি।’তার কথার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাইদ খায়রুল আনাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এমন বিয়ে ও ধর্ষণ সম্পর্কে অবগত নই।’বিষয়টি নিয়ে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহম্মেদের সাথে কথা বললে তিনিও বিষয়টি জানেন না বলে জানান।এ সময় তিনি বলেন, ‘কেউ আমার ব্যাপারে উক্ত মন্তব্য করলে সে মিথ্যা বলেছে। এলাকার সাধারণ মানুষের আস্থা হিসাবে ভূমিকা পালন করে জনপ্রতিনিধি। কিন্তু সেই জনপ্রতিনিধিই যদি অপরাধ ও দুর্নীতির আশ্রয়দাতা হয়ে থাকে তবে সাধারণ মানুষ আরো বিপাকে পড়বে বলে ধারণা সচেতন মহলের।##