আকস্মিক নদী ভাঙ্গনে চরম হুমকির মুখে সানন্দ বাড়ী জিঞ্জিরাম সেতু

মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত সানন্দবাড়ী বাজারের দক্ষিন পাশের অত্র এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা সানন্দবাড়ী ব্রীজটি জিনঞ্জিরাম নদীর আকস্মিক ভাঙ্গনে চরম হুমকির মুখে। সরেজমিনে দেখা যায়, গুরত্বপূর্ন এ ব্রীজটির দক্ষিন পাশে পারের ২০০ গজ পূর্ব দিকে প্রায় ১০০ গজের মত সেফটি পাইলিং ধ্বসে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে।
আকস্মিক এ ভাঙ্গনের কবল থেকে বাঁচতে আশেপাশের বাড়িঘর দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। উপস্থিত প্রত্যেক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন বলেন মাত্র ৩০ মিনিটের ভাঙ্গনের তান্ডবে এত বড় ধ্বস এবং গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এভাঙ্গন অব্যহত থাকলে এক থেকে দু’দিনেই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ও বড় স্থাপনা সানন্দ বাড়ী ব্রীজ এর দক্ষিন পাশের একটি অংশ ধ্বসে যেতে পারে।
রৌমারী, রাজিবপুর, হতে সানন্দবাড়ী বাজার হয়ে তারাটিয়া, কাঠারবিল ও দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর সহ দেশের সকল স্থানে যাতায়াতের সংযোগস্থল এ ব্রীজটির ঝুকি এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হবে এবং কোটি টাকা রাজস্বের হাট সানন্দবাড়ী বাজার মারাত্বক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। দ্রুত ব্রীজটি ঝুঁকিমুক্ত করনের সকল ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন।
দক্ষিণ লম্বাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাহাদুর বলেন- সানন্দবাড়ী দক্ষিণ লম্বাপাড়া গ্রামের শতাধিক বাড়ি হুমকির মুখে আছে, যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে। এছাড়াও সানন্দবাড়ী ব্রিজটি অতি ঝুঁকিতে আছে।নদী ভাঙ্গনের কারণ জানতে চাইলে, জৈনক পথচারী বলেন- অতি বৃষ্টির কারনে নদীর স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলেই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন- নদীতে কিছু দুর অন্তর অন্তর ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নিচের লেয়ার পেয়েছে, এজন্য স্রোতের তীব্রতায় বালু কেটে গিয়ে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়।
ইউপি সদস্য জনাব সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গন কবলিত স্থান আমি সরেজমিনে দেখেছি ঘটনা সত্য।উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যেন এর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
চরআমখাওয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আজিজুর রহমান আকন্দ বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সেতুটি এখন হুমকির মুখে। দ্রুত ভাঙ্গন রোধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।